ময়মনসিংহের সীমান্ত অঞ্চলের বিভিন্ন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে আন্তর্জাতিক সীমারেখা পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কাসহ নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে একাধিক স্থানে সীমানা পিলার হারিয়ে গেছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিজিবি।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বিজিবি-৩৯ ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহ সীমান্ত অঞ্চলের বরাক নদীতে সাম্প্রতিক সময়ে ইজারার বাইরের এলাকা থেকে রাতের অন্ধকারে কিছু কুচক্রী মহল ও অসাধু ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলন করছেন। জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ১১১ নম্বর বরাক ঘোষগাঁও এলাকায় বৈধ ইজারা থাকা সত্ত্বেও রাতের আঁধারে ১০৭/১০৮ নম্বর মৌজা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীর আশপাশের এলাকা ভাঙনের কবলে পড়ছে। কৃষিজমি, সীমান্ত পিলার, স্থানীয়দের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এছাড়া সীমান্ত পিলার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে সীমান্তের শূন্য রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমানাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।
আরও বলা হয়, সীমান্ত সুরক্ষা এবং অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিজিবির মূল দায়িত্ব হলেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বরাক নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে বিজিবি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করছে। বিজিবিও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। এর পরও ইজারা হওয়া জায়গার বাইরে অন্য জায়গা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। ট্রাক্টর ও অটোভ্যানের মাধ্যমে বালু পরিবহনের ফলে স্থানীয় সড়ক ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারছে না। ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা।
এমতাবস্থায় বিজিবির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হলো- বালুমহাল এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সমন্বয়ে স্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন, নিয়মিত টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা, বালুমহালের এলাকাটি স্পষ্ট করে মজবুত খুঁটির মাধ্যমে পর্যাপ্ত পতাকা স্থাপনা, অনিয়মে কোনো ইজারাদার জড়িত থাকলে তার ইজারা বাতিল করা।
এসময় বিজিবি-৩৯ ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এমএন/জেআইএম