রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) প্রশিক্ষণ শেষে পদায়নের জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে আবেদন করা হয়েছে। ওই আবেদন অবিলম্বে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি, প্রশিক্ষণরত অবস্থায় ৩১১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষে তাদের এসআই হিসেবে পদায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও একাডেমির অধ্যক্ষসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
- আরও পড়ুন
- বিচারক নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: নওগাঁর পিপিকে হাইকোর্টে তলব
- ফাঁসি কার্যকর, মাওলানা নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড-অর্থদণ্ড থেকে খালাস
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা সুলতানা দিপ্তি।
এর আগে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহীর চারঘাটে সারদা পুলিশ একাডেমিতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত তিন শতাধিক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়। চাকরি ফিরে পেতে ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন।
আদেশের বিষয়ে আইনজীবী জানান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন প্রশিক্ষণ শেষে পদায়নের জন্য আইজিপির কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন। এসব আবেদন অবিলম্বে নিষ্পত্তি করতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ৩১৩ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে ৩১১ জন পৃথক পাঁচটি রিট করেন। তুচ্ছ কারণ ধরে বিশৃঙ্খলার বিষয় উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়। অসদাচরণের অভিযোগ আনা হলে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। এই সুযোগ না দিয়েই তাদের চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যেটি আইন-বিধি সমর্থন করে না। যে কারণে রিট করা হলে আদালত রুলসহ ওই আদেশ দেন।
এফএইচ/কেএসআর/জিকেএস