অভ্যন্তরীণ সংস্কারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে বিচার বিভাগ

2 days ago 11

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচার বিভাগ হলো রাষ্ট্রের এক নম্বর অঙ্গ, যা বহু দশক ধরে নিজের অভ্যন্তরীণ সংস্কারের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এই দাবির কেন্দ্রে রয়েছে নিজেদের সংস্কার কর্মসূচি নিজেরাই নির্ধারণ, বাস্তবায়নের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব গ্রহণ।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে রংপুর নগরীর একটি হোটেলে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) আয়োজিত ‘জুডিসিয়াল ইনডিপেন্সি অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারিক সংস্কার শুধু খাতভিত্তিক সংস্কারের স্থায়িত্বের মূল চাবিকাঠি নয়। বরং এটি নিজেই সংস্কারের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

গত আট মাসে এই প্রচেষ্টা অভূতপূর্বভাবে অর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন লক্ষ্য হলো সেই উদ্দেশ্য পূরণ করা এবং তা যেন ভবিষ্যতেও টিকে থাকে তা নিশ্চিত করা।

‘একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা কখনো ক্ষমতার পূর্ণ পৃথক করার লক্ষ্যের এতটা কাছাকাছি আসিনি। যদি এই সুযোগ কোনোভাবেই নষ্ট হয়, তবে তা বিচার বিভাগের মর্যাদা অখণ্ডতা এবং প্রাসঙ্গিকতার জন্য চরম ক্ষতিকর হবে। তাই আমার বার্তা পরিষ্কার, আপনারা সবাই দায়িত্ব নিন। আমি আশা করি, এই বার্তা সমানভাবে সারাদেশে শক্তিশালীভাবে প্রতিধ্বনিত হবে’, যোগ করেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সুপ্রিম কোর্টের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। পৃথক সচিবালয় বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। প্রস্তাবিত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় বিচারিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারা কুক ও ইউএনডিপির প্রধান স্টিফেন লিলার। এসময় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঁচ দিনের সফরে শনিবার রংপুরে আসেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আগামী ৮ এপ্রিল রংপুর ত্যাগ করবেন।

জিতু কবীর/এসআর/এএসএম

Read Entire Article