জুলাই ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের সব নিদর্শন রাষ্ট্রের স্মৃতি ভান্ডারে সংরক্ষণের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন তথ্য অধিদপ্তর বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এরই মধ্যে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা আন্দোলনের স্থিরচিত্র, সংবাদ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি সংগ্রহ করে প্রকাশনার কাজ শুরু করেছে তথ্য অধিদপ্তর। ১০০ দিনের অর্জনের খাতায় যুক্ত হচ্ছে জনগণের কাছে পাওয়া হাজারের ওপরে ভিডিওচিত্রের ডিজিটাল আর্কাইভ।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লব’ নামে স্থিরচিত্রের একটি অ্যালবাম প্রকাশ করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতি সংরক্ষণের অংশ হিসেবে। অ্যালবামটিতে আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ক্যাপশনসহ সন্নিবেশ করা হয়েছে।
এছাড়া ‘রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লব’ শিরোনামে সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের সংকলন বিষয়ক ১০ (দশ) খণ্ডের আরেকটি প্রকাশনার মুদ্রণের কাজ চলমান। এরই মধ্যে সংকলনটির ২টি খণ্ডের মুদ্রণের কাজ শেষ হয়েছে।
জুলাইয়ের রক্তাক্ত স্মৃতি সংরক্ষণের অংশ হিসেবে সারাদেশের বিভিন্ন উৎস থেকে ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় হাজারখানেক ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত আন্দোলনের ভিডিওচিত্রের একটা বড়ো সংগ্রহ এরই মধ্যে স্থান পেয়েছে তথ্য অধিদপ্তরের আর্কাইভে।
বর্তমান সরকারের বিগত ১০০ দিনে তথ্য অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন বিষয়ে সরকারের গৃহীত নানা কার্যক্রমের ৬৬টি তথ্যবিবরণী; রিলিজ করা হয়েছে ১১৪টি স্থিরচিত্র। রাষ্ট্র সংস্কার, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও বৈষম্য নিরসনসহ সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়সমূহের ওপর ১৩টি ফিচার ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে অংশীজনের অংশগ্রহণে দুটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে তথ্য অধিদপ্তরের সেবা গ্রহীতাদের জন্য প্রাপ্যতার ভিত্তিতে আরও দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে স্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের আবেদন গ্রহণ, স্থায়ী/অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু/নবায়নের আবেদন গ্রহণ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও আইপি টিভির নিবন্ধন সনদ ইস্যু ও নবায়নসহ ১৪ ধরনের সেবা ডিজিটাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তথ্য অধিদপ্তর জানায়, ১০০ দিনে রক্তাক্ত জুলাইয়ের মূল্যবান স্মৃতির এই সমৃদ্ধ ভান্ডার শুধু অধিদপ্তরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নয়, এর স্থায়ী ও নিরাপদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য এসব কনটেন্ট প্রেরণ করা হবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভেও। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পরিচিত হবে তাদের পূর্বসূরীদের প্রতিবাদী ইতিহাস ও বীরত্বগাথার সঙ্গে। জাতির ইতিহাস সংরক্ষণের পাশাপাশি সাংবাদিক, লেখক, গবেষক, চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য এই সংগ্রহ বস্তুনিষ্ঠতার খোরাক জোগাবে।
আইএইচআর/ইএ