বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে রূপান্তরে ১১ রোডম্যাপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ পেনিনসুলা ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগ ইনেশিয়েটিভ শীর্ষক সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জুলাই ৩৬ ফোরাম।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ নির্ধারণে ১১টি মৌলিক বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়, যা দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শক্তি কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে।
জুলাই ৩৬ ফোরামের আহ্বায়ক মোহাম্মদ এ নাজীর শাহীন বলেন, এখনই সঠিক রোডম্যাপ কার্যকর করার সময়, অন্যথায় সম্ভাবনাগুলো হাতছাড়া হবে।
তাদের প্রস্তাবিত ১১ দফা রোডম্যাপ হলো-
১. অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক গতিশীলতা আনয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিশ্লেষক এবং থিঙ্ক ট্যাংকগুলোর মাধ্যমে সমন্বিত উদ্যোগ গ্ৰহণ করা।
২. ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নে রেল, উচ্চগতির ট্রেন, গভীর সমুদ্রবন্দর এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হাব হিসেবে গড়ে তোলা
৩. কৌশলগত প্রতিরক্ষায় ব্লু ইকোনমি ও রণতরী সংযোজনের মাধ্যমে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি
৪. বহুজাতিক সম্পর্কে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক এবং চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সমন্বয়
৫. পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করে সুন্দরবন ও অন্যান্য পরিবেশগত সম্পদ রক্ষা করা
৬. জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে জোরালো ভূমিকা নিয়ে ইউএন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ অর্জন
৭. বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট ব্যবহার করে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি
৮. ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নে ২০৩৮ সালে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ আয়োজনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ
৯. প্রশাসনিক সংস্কারে দুর্নীতি দমন ও জবাবদিহির মাধ্যমে প্রশাসনকে জনমুখী করা।
১০. প্রধান উপদেষ্টা নোবেল লরিয়েট ড. মোহাম্মদ ইউনূস প্রণীত থ্রি-জিরো, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, শূন্য কার্বন নিঃসরণসহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি
১১. বিশ্বমঞ্চে অবস্থান তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট ডেল্টা নেশন হিসেবে ব্র্যান্ডিং করতে হবে।
আরএএস/এসআইটি/এমএস