অর্থপাচার-কর ফাঁকির অভিযোগ তদন্তের বিষয়: ড. ইউনূস

3 months ago 32

অর্থপাচার, কর ফাঁকি ও বিদেশে প্রতিষ্ঠান গড়ার অভিযোগকে ‘তদন্তের বিষয়, বিতর্কের নয়’ বলে উল্লেখ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে বসার কথা বলেছিলেন, এ ব্যাপারে আগ্রহ আছে কি না- জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, আমি এটা শুনলাম ও তালিকা করলাম যে কী কী বলেছেন তিনি। তালিকাতে সবকটাই হলো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ। আমি টাকা পাচার করেছি, বিদেশে বহু প্রতিষ্ঠান করেছি, ট্যাক্স ফাঁকি দিই। এগুলো হলো তদন্তের বিষয়, বিতর্কের বিষয় নয়। এটা আইন-আদালতের বিষয়, বিচার বিভাগের বিষয়। এখানে বিতর্কের কী আছে বা ডায়ালগের কী আছে। কাজেই আমার মনে হয়, এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার জামিনের মেয়াদ ফের বাড়িয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। ওইদিন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. ইউনূস।

তিনি বলেন, অন্যান্য যেসব বিষয় তিনি (প্রধানমন্ত্রী) উত্থাপন করেছেন অভিযোগ হিসেবে, সেগুলোর জবাব আমরা একবার নয়, বহুবার দিয়েছি। ২০১২ সাল থেকে আমরা এগুলো বলতে বলতে এত বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম, শেষে গ্রামীণ ব্যাংকের ২৯টি প্রশ্ন ও তার জবাব বলে একটা তালিকা করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে ছাপিয়ে দিয়েছিলাম। ওটা পড়লে ওগুলোর জবাব ওখানেই পেয়ে যাবেন। নতুন করে আর জবাব খুঁজতে হবে না।

ড. ইউনূস বলেন, আমার ট্যাক্সের ব্যাপারে কোনোদিন সরকারের পক্ষ থেকে, এনবিআরের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। কাজেই ট্যাক্স ফাঁকির বিষয়টি এলো কোথা থেকে এটা বুঝতে পারছি না।

‘আমার একটা জিনিস ভালো লেগেছে উনার (প্রধানমন্ত্রীর) কথায়, তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এনেছেন’- যোগ করেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, আজকে ভালো লাগলো, খাঁচার ভেতরে ছিলাম না। এখানে খাঁচার ব্যবস্থা নেই। এই খাঁচার ব্যাপারে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বারেবারে—এটা যেন বাংলাদেশের আদালত থেকে একেবারে চিরস্থায়ীভাবে উচ্ছেদ হয়ে যায়।

এফএইচ/এমকেআর/জিকেএস

Read Entire Article