অষ্টম শ্রেণি চালুর জন্য প্রস্তুত ১৫৪ স্কুল, ৩ বছরে আরও ১ হাজার

3 months ago 42

সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করার বিষয়ে ফের তৎপর সরকার। এই মুহূর্তে দেশের আরও ১৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণি চালু করার জন্য প্রস্তুত আছে এবং আগামী তিন বছরে আরও এক হাজার স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার মতো অবকাঠামো আছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে সচিব এ তথ্য জানান।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি চালুর অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, ২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে বলা আছে প্রাথমিক শিক্ষা হবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এটি পর্যায়ক্রমে হবে। এটি আসলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের ব্যাপার। এখানে পলিসি মেকিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের সিদ্ধান্তে আমরা ৬৯৫ স্কুলে অষ্টম শ্রেণি চালু করেছি। আমরা সাতশ’র বেশি চালু করেছিলাম। একসময় সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার কারণে নতুন স্কুল অন্তর্ভুক্ত করিনি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় সভায় আবারও সিদ্ধান্ত হয়েছে, ধারাবাহিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত ও শতভাগ অবৈতনিক করা। আমরা হিসাব করে দেখেছি ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে পাঁচ হাজারের কাছাকাছি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করতে পারি এবং মাধ্যমিকে ২৩ হাজারের কছাকাছি নিম্ন মাধ্যমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে, সেগুলো যদি তারা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করতে পারে, তাহলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, এটা করতে হলে তিন চ্যালেঞ্জ- অবকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ ও পদ সৃজন এবং তাদের প্রশিক্ষণ। কারণ আমরা আমাদের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেই পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত।

‘আমরা মাঠপর্যায় থেকে যে তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি, তাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে আমরা এই মুহূর্তে আরও ১৫৪ স্কুলে অষ্টম শ্রেণি চালু করতে পারি। পাশাপাশি আগামী তিন বছরে আরও এক হাজার স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার মতো অবকাঠামো আছে। এটা একটি ধারাবাহিক এবং নীতি-নির্ধারণী প্রক্রিয়া।’

কবে নাগাদ সব স্কুলে পুরোপুরি অষ্টম শ্রেণি চালু হবে হবে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটার সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। অবকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ ও পদ সৃজন এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়গুলো আছে। এই কাজগুলো আমরা শুরু করেছি। আগামী তিন বছরের একটা টার্গেট নিয়ে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ‘স্মার্ট প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-৫’ এর দিকে যাচ্ছি। সেখানেও বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, যাতে অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধি, ষষ্ঠ-সপ্তম-অষ্টমের শিক্ষক-কর্মচারীর পদ সৃজন ও প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়। আমাদের পিডিপি-৫ এর কাজ শুরু হলে এই কাজ আরও ত্বরান্বিত হবে।

আরএমএম/ইএ/জেআইএম

Read Entire Article