অস্ট্রিয়ার পর্বতে প্রেমিকের অবহেলায় সঙ্গীর মৃত্যু

ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ার সর্বোচ্চ পর্বত গ্রসগ্লকনারে তীব্র শীতে কারণে ৩৩ বছর বয়সি এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার ৩৯ বছর বয়সী প্রেমিককে হত্যার (অবহেলাজনিত মানবহত্যা) অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য মেট্রো–র বরাতে জানা গেছে, প্রচণ্ড শীত ও ঝড়ো পরিস্থিতিতে পড়েন পর্বতারোহণে নবীন ওই নারী। তিনি পর্বতের ১২,৪৬০ ফুট উচ্চ শিখর থেকে মাত্র ১৫০ ফুট দূরে ছিলেন। সালজবুর্গের ওই অভিজ্ঞ পর্বতারোহী প্রেমিক তাকে ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় পর্বতে একা রেখে সাহায্য আনতে নিচে নেমে যান। গুরুতর ক্লান্তি, হাইপোথার্মিয়া এবং প্রতিরক্ষাহীন অবস্থায় ফেলে রাখার কারণে তার মৃত্যু ঘটে। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা দুই ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এছাড়া ওই নারী বিপজ্জনক আলপাইন অঞ্চলের জন্য উপযুক্ত পোশাক ও সরঞ্জাম (স্প্লিট বোর্ড ও নরম স্নোবুট) পড়েননি। প্রবল ঠান্ডা আবহাওয়া সঙ্গে ঘণ্টায় ৪৬ মাইল বেগে বাতাস এবং প্রায় মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকায় তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রেমিক তার সঙ্গীর অদক্ষতা জেনেও ঝুঁকিপূর্ণ আরোহন চালিয়ে যান। এছাড়া রাত হওয়ার আগেই জরুরি সেবায়

অস্ট্রিয়ার পর্বতে প্রেমিকের অবহেলায় সঙ্গীর মৃত্যু

ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ার সর্বোচ্চ পর্বত গ্রসগ্লকনারে তীব্র শীতে কারণে ৩৩ বছর বয়সি এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার ৩৯ বছর বয়সী প্রেমিককে হত্যার (অবহেলাজনিত মানবহত্যা) অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য মেট্রো–র বরাতে জানা গেছে, প্রচণ্ড শীত ও ঝড়ো পরিস্থিতিতে পড়েন পর্বতারোহণে নবীন ওই নারী। তিনি পর্বতের ১২,৪৬০ ফুট উচ্চ শিখর থেকে মাত্র ১৫০ ফুট দূরে ছিলেন।

সালজবুর্গের ওই অভিজ্ঞ পর্বতারোহী প্রেমিক তাকে ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় পর্বতে একা রেখে সাহায্য আনতে নিচে নেমে যান। গুরুতর ক্লান্তি, হাইপোথার্মিয়া এবং প্রতিরক্ষাহীন অবস্থায় ফেলে রাখার কারণে তার মৃত্যু ঘটে।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা দুই ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এছাড়া ওই নারী বিপজ্জনক আলপাইন অঞ্চলের জন্য উপযুক্ত পোশাক ও সরঞ্জাম (স্প্লিট বোর্ড ও নরম স্নোবুট) পড়েননি। প্রবল ঠান্ডা আবহাওয়া সঙ্গে ঘণ্টায় ৪৬ মাইল বেগে বাতাস এবং প্রায় মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকায় তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।

কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রেমিক তার সঙ্গীর অদক্ষতা জেনেও ঝুঁকিপূর্ণ আরোহন চালিয়ে যান। এছাড়া রাত হওয়ার আগেই জরুরি সেবায় ফোন করেননি। উদ্ধারকর্মীদের বেশ কয়েকটি ফোন কলও প্রেমিক রিসিভ করেননি।

পরে সকাল ১০টার দিকে উদ্ধার দল যখন পৌঁছায় ততক্ষণে ওই নারী মারা যান। তীব্র বাতাসের কারণে ভোরের উদ্ধার হেলিকপ্টার অভিযান বিলম্বিত হয়।

অবহেলাজনিত মানবহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রেমিককে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। এ মামলার শুনানি হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৬–এ ইনসব্রুকের আঞ্চলিক আদালতে।

কেএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow