অস্ট্রেলিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনার আঘাত’, ডারউইন বিমানবন্দর বন্ধ
অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটরির রাজধানী ডারউইনে আঘাত হেনেছে ট্রপিক্যাল ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনা’, যার প্রভাবে শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রোববারও (২৩ নভেম্বর) বন্ধ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো জানায়, ক্যাটাগরি-৩ শক্তির এই ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার রাতে ডারউইনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার পর রোববার ঝড়টি শহর থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। ডারউইনের প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার বাসিন্দার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ফিনা নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছে ১৯৭৪ সালে ক্রিসমাসে আঘাত হানা ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ট্রেসির স্মৃতি, যা শহরটির বড় অংশ ধ্বংস করে দিয়েছিল এবং ৬৬ জনের প্রাণ নিয়েছিল। ডারউইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিরাপদ হলেই পুনরায় উড়ান চালু করা হবে। এখনও ঝোড়ো বাতাস ও ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে। রোববার সকালে জরুরি সংস্থা সিকিউরএনটি বাসিন্দাদের বিদ্যুৎবাহী তার ছিঁড়ে পড়া এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানায়। সংস্থাটি সতর্ক করে বলে, এখন বাইরে ঘুরে দেখার সময় নয়। সরকারি প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড ওয়াটার করপোরেশন জানিয়েছে, ঠিক কত মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছ
অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটরির রাজধানী ডারউইনে আঘাত হেনেছে ট্রপিক্যাল ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনা’, যার প্রভাবে শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রোববারও (২৩ নভেম্বর) বন্ধ রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো জানায়, ক্যাটাগরি-৩ শক্তির এই ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার রাতে ডারউইনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার পর রোববার ঝড়টি শহর থেকে দূরে সরে যেতে থাকে।
ডারউইনের প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার বাসিন্দার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ফিনা নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছে ১৯৭৪ সালে ক্রিসমাসে আঘাত হানা ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ট্রেসির স্মৃতি, যা শহরটির বড় অংশ ধ্বংস করে দিয়েছিল এবং ৬৬ জনের প্রাণ নিয়েছিল।
ডারউইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিরাপদ হলেই পুনরায় উড়ান চালু করা হবে। এখনও ঝোড়ো বাতাস ও ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে।
রোববার সকালে জরুরি সংস্থা সিকিউরএনটি বাসিন্দাদের বিদ্যুৎবাহী তার ছিঁড়ে পড়া এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানায়। সংস্থাটি সতর্ক করে বলে, এখন বাইরে ঘুরে দেখার সময় নয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড ওয়াটার করপোরেশন জানিয়েছে, ঠিক কত মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে, তা এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। রোববার সকালে ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন শুরু হয়েছে।
এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝড়ের আঘাতে বাড়িঘরসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে, তবে কেউ গুরুতরভাবে আহত হয়নি।
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ক্যাটাগরি-৩ ঘূর্ণিঝড় সাধারণত গাছপালা, ফসল ও দুর্বল স্থাপনায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটায় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
এর আগে গত মার্চে ঘূর্ণিঝড় অ্যালফ্রেড কুইন্সল্যান্ডে আঘাত হেনে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটিয়েছিল।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম
What's Your Reaction?