অস্ত্রধারী তুষারের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন অস্ত্র হাতে গুলিবর্ষণ করতে থাকা যুবকের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিএনপির দাবি, ওই যুবক জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে জামায়াত। ওই যুবকের নাম তুষার হোসেন। তিনি ঈশ্বরদী পৌর শহরের ভেলুপাড়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম চরগড়গড়ির যগির মোড়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পাবনা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মন্ডলসহ দুই দলের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। দুই দলের সংঘর্ষ চলাকালে তুষারকে পিস্তল দিয়ে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায়। তুষারের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে জামায়াতের ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মুহা. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘তুষার আমাদের দলের কেউ না। তাকে আমরা চিনি না। সে কখনো কোনোদিন আমাদের দলের কোনো মিটিং-মিছিলে ছিল না। বিএনপি নেতাকর্মীরা তুষারকে আমাদের কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন, যাতে জামায়াতের ওপর বিএনপির হামলার ঘটনা ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া যায়।’ আরও পড়ুন: পাব
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন অস্ত্র হাতে গুলিবর্ষণ করতে থাকা যুবকের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিএনপির দাবি, ওই যুবক জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে জামায়াত।
ওই যুবকের নাম তুষার হোসেন। তিনি ঈশ্বরদী পৌর শহরের ভেলুপাড়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম চরগড়গড়ির যগির মোড়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পাবনা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মন্ডলসহ দুই দলের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। দুই দলের সংঘর্ষ চলাকালে তুষারকে পিস্তল দিয়ে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায়।
তুষারের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে জামায়াতের ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মুহা. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘তুষার আমাদের দলের কেউ না। তাকে আমরা চিনি না। সে কখনো কোনোদিন আমাদের দলের কোনো মিটিং-মিছিলে ছিল না। বিএনপি নেতাকর্মীরা তুষারকে আমাদের কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন, যাতে জামায়াতের ওপর বিএনপির হামলার ঘটনা ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া যায়।’
আরও পড়ুন:
পাবনায় বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে জামায়াতের এমপি প্রার্থীসহ আহত শতাধিক
পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে অস্ত্র হাতে যুবকের ছবি ভাইরাল
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু তালেব মন্ডল বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের কারও কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। অস্ত্রধারী কোনো ব্যক্তি জামায়াতের নেতাকর্মী হতে পারে না।’
এ বিষয়ে ওই আসনের বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘জামায়াতের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। তারা প্রকাশ্যে আমাদের নেতাকর্মীদের গুলিবিদ্ধ করেছে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’
তুষার একজন জামায়াতের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেন সাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সে পৌর এলাকার ভেলুপাড়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে। প্রকাশ্যে দিবালোকে সে পিস্তল হাতে গুলি করেছে। এটি অনেকেই সচক্ষে দেখেছে। ঈশ্বরদীর মানুষ যারা তুষারকে চেনে তারা জানে সে কোন দল করে।’
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, বিএনপি-জামায়াতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
শেখ মহসীন/এসআর/এএসএম
What's Your Reaction?