তরুণ কবি অহ নওরোজের কাব্যগ্রন্থ ‘সান্ধ্যসনেটসমূহ’র পাঠ-উন্মোচিত হয়েছে। ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে সাহিত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পাঠ-উন্মোচন করা হয়। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে কলকাতার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অভিযান পাবলিশার্স। দাম রাখা হয়েছে ২০০ রুপি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, কবি চঞ্চল আশরাফ, কবি ও চিত্রশিল্পী শামসেত তাবরেজী, লেখক ও অনুবাদক কবির চান্দ, সাংবাদিক ও প্রকাশক ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ, প্রকাশক মারুফ হোসেন ও কবি জাহিদ সোহাগ প্রমুখ।
প্রথমেই তরুণ কবি নীলিমা নূর ‘সান্ধ্যসনেটসমূহ’ থেকে একটি কবিতা পাঠ করেন। এই পাঠের মধ্য দিয়েই বইটির আনুষ্ঠানিক পাঠ-উন্মোচন হয়।
বইটির পরিচিতিমূলক বক্তব্য রাখেন জাহিদ সোহাগ। তিনি বলেন, ‘বইয়ে আমরা কেবল অমিত্রাক্ষর ও অক্ষরবৃত্ত দেখবো। তবে প্রচলিত চারটি ছন্দই কেবল নয়, সংস্কৃত মন্দাক্রান্তা ও তোটক ছন্দ নিয়েও অহ নওরোজের চর্চা এবং পারদর্শিতা আছে।’
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ। অহ নওরোজের কবিতায় শব্দ ও ছন্দের ব্যবহার বিষয়ে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করেন কবির চান্দ।
রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, ‘নাম থেকেই বোঝা যায় বইটি সনেটের। অহ নওরোজের মতো তরুণ কবিরা ছন্দ চর্চা করছেন, এটা বাংলা কবিতার জন্য ভালো লক্ষণ। এখন বাংলাদেশে অনেক কিছুর সংস্কার চলছে। সংস্কৃতির কোনো সংস্কার হচ্ছে না। সংস্কৃতি অঙ্গনকেও সংস্কার করা প্রয়োজন।’
তিন পর্বের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল এ সময়ের কবিতার রূপ-রুপান্তর শিরোনামে কবিতাবিষয়ক আলোচনা। এ পর্বে এ সময়ের বাংলা কবিতা বিষয়ে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করেন চঞ্চল আশরাফ ও শামসেত তাবরেজী। শেষ পর্বে ছিল এ সময়ের প্রতিনিধিত্বশীল কবিদের কবিতা পাঠ।
কবি অহ নওরোজের জন্ম যশোর জেলার অভয়নগরে। তিনি বহুদিন ঢাকায় সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে বার্লিনের হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক ভাষাতত্ত্ব ও জার্মান সাহিত্য নিয়ে অধ্যয়নরত। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ‘অতিলৌকিক কবিতাসমূহ’ (জার্মান-বাংলা দ্বিভাষিক), ‘কম্বুরেখপদাবলি’ উল্লেখযোগ্য। তিনি ২০২১ সালে পেন বাংলাদেশ সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
এসইউ/জিকেএস