বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতি, ব্যাংক ডাকাতি, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক খাতকে মেরুদণ্ডহীন করেছে। রিজার্ভ কমতে-কমতে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক খাতের সাথে জড়িত ব্যাংক, বীমা, গামেন্টর্স সহ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছিলো। ব্যাংক জনগণের অর্থের নিরাপত্তাস্থল হলেও ব্যাংক গুলোকে দলীয়করণ করে নিজের পরিবার ও দলের নেতাদেরকে দিয়ে ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। গত ১৫ বছরে একেক জন কয়েক শত, হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বাউফল ইসলামী ব্যাংকার্স ইউনিটি-ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করেছে। আমাদের প্রতিষ্ঠা করা সকল ব্যাংক আওয়ামী লীগ দখল করে নিয়ে জনগণের পকেট শূন্য করেছে। শেখ হাসিনা জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করার কৌশল হিসেবে নিজ দলীয় নেতাদের দিয়ে কয়েকটি ব্যাংক খুলে সেসব ব্যাংকের মাধ্যমেও জনগণের সারাজীবনের অর্জিত সঞ্চিত টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। শকুন মাংস খেয়ে হাড্ডি রেখে যায়, শেখ হাসিনা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে একটি পয়সাও রেখে যায়নি।
ড. মাসুদ আরো বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরের কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণ এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি। প্রত্যাশিত বাউফলের জন্য কাঙ্খিত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় দলমত নির্বিশেষে ভূমিকা রাখতে হবে। বাউফল কোন একক ব্যক্তি বা দলের নয়। বাউফল সাড়ে ৪ লাখ জনগণের। আগামীর বৈষম্যহীন বাউফলের নেতৃত্ব দিবে এই উপজেলার প্রতিটি মানুষ। সেজন্য এখনই সকলকে প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, তিনি নিজেও জনতার প্রত্যাশিত বাউফল বিনির্মাণে অতিতের মত শামিল থাকবেন।
প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও এস.এম রুহুল আমীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী এটর্নী জেনারেল এডভোকেট মু. মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, এডভোকেট আবুল কাশেম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মু. সারওয়ার ইসলাম, মু. মশিউর রহমান সুজন, মো. শহীদুল ইসলাম, আবু সাঈদ মু. নাহিদ, এস.এম আল আমীন, মু. আবু নোমান, মো. রেজাউল করিম, মো. খলিলুর রহমান, মো. আল আমীন প্রমুখ।