গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার। অথচ ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে এখনো নিষিদ্ধ করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা বলতে চাই, এটা সরকারের ব্যর্থতা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহরের শহীদ মিনারে জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজন গণহত্যার জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শাকিল উজ্জামান বলেন, অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। শুধু তাই না গুম খুনের সাথে যারা জড়িত তাদেরও অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক বলেন, আপনারা ইতোমধ্যেই দেখেছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট এই দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরেও তার দোসরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়ে গেছে। শুধু তাই না এই দোসররা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অপকর্ম করে এদেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় এই সন্ত্রাসী দল এখনো গুপ্ত হামলা করছে।
তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ে হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে এবং প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের অঙ্গহানি করে এখন পর্যন্ত এই ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের মানুষের কাছে বিন্দুমাত্র কোন অনুসূচনা করেনি। কোন অনুসূচনা তো করেনি বরং দেশের বাইরে থেকে দেশের জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। দেশের জন্য কোনো ষড়যন্ত্র করলে ছাত্র-জনতা সেটি রুখে দেবে।
গণ অধিকারের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ২০১৪ সালে ৫ মে শাপলা চত্বরে অসংখ্য আলেমদের হত্যা করেছে। শেখ হাসিনার আমলে কেউ নিরাপদ ছিল না। শুধু তাই না এই টাঙ্গাইলেও অসংখ্য মানুষকে গুম খুন করেছে।
তিনি বলেন, ভুয়াপুর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে এই আওয়ামী সরকারের সাথে তার যোগসাজশ রয়েছে। এটা খতিয়ে দেখতে হবে।