আইইউবিএটি’তে ‘গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি ও টেকসই ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ সফলভাবে ‘গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি ও টেকসই ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার আয়োজন করেছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে ইউনেস্কো প্রতিনিধি, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান এবং সাবেক উপউপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদা খানমের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান স্বাগত বক্তব্য ও কি-নোট উপস্থাপন করেন। তিনি প্রকৃত সম্পদ স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে মানব আচরণ ও ভোগ–ব্যবহার প্যাটার্ন পরিবর্তনের উপর জোর দেন। আইইউবিএটির কোষাদক্ষ্য অধ্যাপক সেলিনা নারগিস পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক তুলে ধরে ব্যক্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ কর
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ সফলভাবে ‘গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি ও টেকসই ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার আয়োজন করেছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে ইউনেস্কো প্রতিনিধি, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।
জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান এবং সাবেক উপউপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদা খানমের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান স্বাগত বক্তব্য ও কি-নোট উপস্থাপন করেন। তিনি প্রকৃত সম্পদ স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে মানব আচরণ ও ভোগ–ব্যবহার প্যাটার্ন পরিবর্তনের উপর জোর দেন।
আইইউবিএটির কোষাদক্ষ্য অধ্যাপক সেলিনা নারগিস পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক তুলে ধরে ব্যক্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
আইইউবিএটির শিক্ষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, ড. এম রেহান দস্তগীর ও ড. ফেরদৌস আহমেদ ঢাকার বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ কমাতে নগর সবুজায়নের গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. সোহাগ মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেশীয় বৃক্ষ প্রজাতি সংরক্ষণ ও দীর্ঘমেয়াদি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততার সফল উদাহরণ তুলে ধরেন।
বিধান চন্দ্র পাল, প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রভা অরোরা, ইউনেস্কোর গ্রিনিং এডুকেশন পার্টনার এ বাংলাদেশের নেতৃত্বের বিষয়টি তুলে ধরে ক্ষতিপূরণ নির্ভর জলবায়ু কৌশলের বদলে উদ্ভাবনী ও সম্প্রসারণ যোগ্য সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
গেস্ট অব অনার মি. মাসুদ ইকবাল মোদ্দাস শামীম, পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সরকার, দেশের পরিবেশ নীতি, নিয়ন্ত্রক কাঠামো ও ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকার বিষয়ে বক্তব্য দেন।
ড. সুসান ভাইজ, প্রধান, ইউনেস্কো বাংলাদেশ অফিস ও ইউনেস্কোর প্রতিনিধি, (বেলেম, ব্রাজিল)-এর মূল সিদ্ধান্ত ও ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক সাসটেইনেবিলিটি কাঠামোতে বাস্তবায়ন, জবাবদিহিতা ও তরুণদের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সমাপনী ভাষণে আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুর রব প্রতিটি ব্যক্তি, পরিবার ও প্রতিষ্ঠানকে দৈনন্দিন জীবনে সম্পদ সংরক্ষণের বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গ্লোবাল অঙ্গীকার তখনই অর্থবহ হয় যখন তা স্থানীয় বাস্তবায়নে প্রতিফলিত হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মরিয়ম সুলতানা ম্যারি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এরপর সম্মানিত অতিথিদের স্মারক প্রদান ও গ্রুপ ছবি তুললে দিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়।
সেমিনারটি আইইউবিএটির টেকসই শিক্ষা প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতাকে আরও জোরদার করে। বাধ্যতামূলক পরিবেশ বিজ্ঞান কোর্স, বার্ষিক সাসটেইনেবিলিটি ডে পালন এবং কমিউনিটি উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে আইইউবিএটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
What's Your Reaction?