আইন হচ্ছে, ফর্টিফাইড খাদ্যের সনদ নিতে হবে
ফর্টিফাইড খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, আমদানি ও রপ্তানির সঙ্গে জড়িত খাদ্য ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফর্টিফিকেশন সনদ নিতে হবে। আর সনদের মেয়াদ হবে তিন বছর। নিরাপদ খাদ্য ফর্টিফিকেশন প্রবিধানমালা, ২০২৫-এর খসড়ায় এসব শর্ত রাখা হয়েছে। প্রবিধানমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশের ছয় মাস পর থেকে এ আইন কার্যকর হবে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) নিজস্ব কার্যালয়ে ‘রেস্তোরাঁর জন্য নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক নির্দেশিকা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং হারমোনাইজকৃত খসড়া নিরাপদ খাদ্য (পোর্টিফিকেশন) প্রবিধানমালা-২০২৪-এর ওপর অংশীজন কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়। বিএফএসএর চেয়ারম্যান জাকারিয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যসচিব মো. মাহমুদুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শামীমুল হক ও গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএফএসএর সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব। নিরাপদ খাদ্য (পোর্টিফিকেশন) প্রবিধানমালার (২০২৪) খসড়া উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির বৈজ্ঞানিক কর্মক
ফর্টিফাইড খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, আমদানি ও রপ্তানির সঙ্গে জড়িত খাদ্য ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফর্টিফিকেশন সনদ নিতে হবে। আর সনদের মেয়াদ হবে তিন বছর।
নিরাপদ খাদ্য ফর্টিফিকেশন প্রবিধানমালা, ২০২৫-এর খসড়ায় এসব শর্ত রাখা হয়েছে। প্রবিধানমালাটি গেজেট আকারে প্রকাশের ছয় মাস পর থেকে এ আইন কার্যকর হবে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) নিজস্ব কার্যালয়ে ‘রেস্তোরাঁর জন্য নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক নির্দেশিকা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং হারমোনাইজকৃত খসড়া নিরাপদ খাদ্য (পোর্টিফিকেশন) প্রবিধানমালা-২০২৪-এর ওপর অংশীজন কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়।
বিএফএসএর চেয়ারম্যান জাকারিয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যসচিব মো. মাহমুদুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শামীমুল হক ও গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার।
স্বাগত বক্তব্য দেন বিএফএসএর সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব। নিরাপদ খাদ্য (পোর্টিফিকেশন) প্রবিধানমালার (২০২৪) খসড়া উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ ফুয়াদ হাসান আকাশ।
কর্মশালায় জাকারিয়া বলেন, আমাদের দেশে রেস্তোরাঁর জন্য নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বইপত্র বলতে গেলে নেই। সে বিষয়টি সামনে রেখে প্রাথমিকভাবে বইটি করা হয়েছে। বইটি সম্পর্কে বিশিষ্টজনদের পরামর্শ আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।
বোতলজাত তেলেও যথাযথ মাত্রায় পুষ্টি পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সুলতান আলম। তিনি বলেন, অনেক কোম্পানির সয়াবিন তেলে ভিটামিন এ ফর্টিফাইড করার কথা থাকলেও বাজারজাত তেল থেকে তা পাওয়া যাচ্ছে না।
ডা. রুদাবা খন্দকার বলেন, আমরা যেসব কাজ করছি তা ডেটাবেইসে। এভিডেন্স ছাড়া কাজ করা সম্ভব নয়। প্রান্তিক ক্রেতা ও উৎপাদক থেকে শুরু করে সবাইকে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ভাবতে হবে। কেননা স্বাস্থ্য নিঃসন্দেহে বড় সম্পদ। তা ছাড়া যে প্রবিধিটির খসড়া করা হয়েছে তাতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ দরকার। আটা-ময়দা ও চালে ফর্টিফিকেশন হচ্ছে কিন্তু কোন আইনে হচ্ছে তা নির্দিষ্ট নেই বলে জানান জাকারিয়া।
জাকারিয়া বলেন, খাদ্যে লবণ ও তেলে ফর্টিফিকেশন অনেক আগে শুরু হয়েছে। এ দুটি ছাড়া অন্য কোনোটিতে নেই। এ আইন বাধ্যতামূলক না হলেও করতে গেলে সনদ নিতে হবে। যথাযথ আইন না মানলে শাস্তির মুখে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, আমরা রেস্তোরাঁর জন্য নির্দেশিকা তৈরি করেছি। এতে সবার উপকার হবে।
এনএইচ/এমএমএআর/এমএস
What's Your Reaction?