বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে অবিলম্বে আইনানুগভাবে তার মুক্তি দাবি করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চের শীর্ষ নেতারা এ দাবি জানান। দেশের সাম্প্রতিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরতে গণতন্ত্র মঞ্চ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা মহিবুল হককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে এ ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানান। তারা বলেন, চার বছর আগে অবসরে যাওয়া মহিবুল হককে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিরোধী দলসমূহের মহাসমাবেশে এক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত হয়ে তার মামলার সঙ্গে মহিবুল হকের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা না থাকার কথা জানিয়ে হলফনামা দিলেও গত এক মাসে তার জামিন হয়নি। তিনি যাতে জামিনে ছাড়া না পান তার জন্য ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে এক নিহতের মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তারা আরও বলেন, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সরকারি পদ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে মহিবুল হককে অন্যায়ভাবে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। এই ধরনের হয়রানিমূলক মামলা চলতে থাকলে প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে পারে। নেতারা অবিলম্বে আইনানুগভাবে মহিবুল হকের মুক্তি দাবি করেন।
গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নির্বাচন ও জাতীয় ঐকমত্যসংক্রান্ত কমিশন গঠনের ধারণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সরকারের কাজের গতি ও দক্ষতা থাকলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।