আইসিসির চুক্তিতে সই করা ১২৪ দেশে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু

5 hours ago 4
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকেই বেশ চাপে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ইসরায়েল আইসিসির এখতিয়ার স্বীকার করে না। আর নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট আত্মসমর্পণ করবেন না বলেও জানিয়েছে দেশটি। তবে তাদের চলাচলের সুযোগ ঠিকই সংকুচিত হয়ে গেছে। আইসিসির প্রতিষ্ঠাতা চুক্তি রোম সংবিধির আওতায় ১২৪টি দেশ রয়েছে। আর এসব দেশ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে বাধ্য। গেল বছরের মার্চে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অভিযুক্ত করে আইসিসি। এরপর থেকেই তিনি চলাচল সংকুচিত করে দেন। যদিও পরোয়ানাভুক্ত ব্যক্তিকে আইসিসির সনদে স্বাক্ষর করা দেশের গ্রেপ্তার না করারও নজির রয়েছে। এর আগে সুদানের ওমার হাসান আল-বশিরের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছিল। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা ও জর্ডানে গেলেও তাকে গ্রেপ্তার করেনি দেশ দুটি। এছাড়া আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই কয়েক মাস আগে আইসিসির সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ মঙ্গোলিয়া সফর করেছিলেন রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনকে সর্বোচ্চ আতিথেয়তাও দিয়েছিল চেঙ্গিস খানের দেশ। নেতানিয়াহুর ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটতে পারে। তবে এরই মধ্যে ইতালি জানিয়েছে, দেশটিতে পা রাখলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু। তবে হাঙ্গেরি নেতানিয়াহুকে সাদরে গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে। যদিও মানবাধিকারের কথা বলা ইসরায়েলের বিভিন্ন ইউরোপীয় মিত্র দেশ তাকে নিয়ে চাপে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Read Entire Article