আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলসহ সব সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করারও দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য (দপ্তর সেল) শাহাদাত হোসেনের পাঠানো এক বার্তায় এই দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় আহত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য আবুল কাসেম খাঁ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তার বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করার পাশাপাশি শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছে।
এতে আরও বলা হয়, চব্বিশের জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানোত্তর আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক সংঘটিত গাজীপুর ও মিরপুরের ঘটনাসহ নানা গুপ্তহত্যা ও হামলার ঘটনা ঘটছে, যা ভয়ংকর উদ্বেগজনক এবং জন-আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি। অভ্যুত্থানোত্তর এ ধরনের ঘটনার দায় অবশ্যই হাজারো শহীদ ও আহতদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জননিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও উদ্যোগী ও কার্যকর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
ওই বার্তায় আরও বলা হয়, আমরা লক্ষ করেছি জুলাই ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানকালে স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ছাত্র-জনতার ওপর পালিত নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে রীতিমতো গণহত্যা চালিয়েছে; যা আজ জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। কিন্তু এই গণহত্যা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই; বরং তারা নানাভাবে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অপমানসহ গুপ্তহত্যা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যা জনমনে উদ্বেগ তৈরি করছে। এমনকি অভ্যুত্থানোত্তর প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আওয়ামী ও শেখ পরিবারের খুনিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এনএস/এমআইএইচএস