রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ ট্যাগ গিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই ভাই। প্রমাণ হিসেবে বড় ভাই ছাত্রলীগের নেতার সঙ্গে ছোট ভাইয়ের ছবি উপস্থাপন করেন। অপরদিকে ছোট ভাই দেখিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের দেওয়া একটি প্রত্যয়নপত্র।
শনিবার (৬ জুলাই) নগরের শালবাগান এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান সিজার ও তার ছোট ভাই মাহমুদ হাসান শিশিল পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
এদের মধ্যে শিশিল রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি। গত বৃহস্পতিবার তার নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা নগরের পদ্মা পারিজাত এলাকার একটি বহুতল ভবন ঘেরাও করেন। প্রচার করা হয় এ ভবনে নগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি অবস্থান করছেন। পরে ষষ্ঠতলার একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়। এ ফ্ল্যাটে থাকেন সিজারের শাশুড়ি হাবিবা আক্তার মুক্তা।
হাবিবা আক্তার মুক্তার অভিযোগ, যুবলীগ নেতা রনিকে ধরতে তল্লাশি নয়। তার জামাতা সিজারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে ভয় দেখাতে ‘মব’ সৃষ্টি করা হয়েছে। তল্লাশির নামে বাড়িতে চালানো হয়েছে লুটপাট। এ অভিযোগে শুক্রবার দুপুরে শিশিলসহ কয়েকজনের নামে তিনি থানায় মামলাও করেছেন। পরে শনিবার সকালে নগরের একটি রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলন হাবিবা আক্তার মুক্তা ও তার জামাতা সিজার। বিকেলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন শিশিল।
সকালে সংবাদ সম্মেলনে সিজার দাবি করেন, ‘তার ভাই বাবার রেখে যাওয়া প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার সম্পদ একাই ভোগদখল করছেন। এ সময় ভাইকে আওয়ামী লীগ ‘দোসর’ প্রমাণ করতে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজীবসহ কয়েকজন নেতার সঙ্গে শিশিলের ছবি দেখান সিজার।
বিকেলে মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিশিল। সেখানে তিনি ভাইয়ের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, তার ভাই ছাত্রলীগ করতেন। তিনি ২৮তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তখন তার জন্য সুপারিশ করে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক। এ প্রত্যয়নপত্রে সিজারকে ছাত্রলীগ বলে উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রত্যয়নপত্রটি দেখান।
সাখাওয়াত হোসেন/আরএইচ/জিকেএস