আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তে যাতায়াত কমলেও রপ্তানি স্বাভাবিক

3 weeks ago 16
আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তে যাত্রী পারাপার কমলেও আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হচ্ছে হিমায়িত মাছ। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সরেজমিনে বিষয়টি দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৬০০-৭০০ যাত্রী ভারত পারাপার হন। তবে ভারতের আগরতলায় বিক্ষোভের কারণে মঙ্গলবার থেকে আতঙ্কে যাত্রী পারাপার অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে।  গতকাল বন্দর দিয়ে ভারতে পারাপার হয় ২৯৮ জন যাত্রী। আর বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী পারাপার হয়েছেন, যার অধিকাংশই ভারতীয় যাত্রী। এদিকে বন্দর দিয়ে স্বাভাবিক রয়েছে ভারতে পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম। বুধবার ৮৯ টন হিমায়িত মাছ রপ্তানি হয় দেশটিতে। ব্যবসায়ীরা জানান, রপ্তানি বাণিজ্যে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ভারতীয় আমদানিকারকরা জানিয়েছেন দুএকদিনের মধ্যেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি কেটে গিয়ে বাণিজ্য আরও বাড়বে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া কালবেলাকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। গতকাল আমরা আগরতলা বন্দরে মাছসহ অন্য অনেক পণ্যবাহী গাড়ি পাঠিয়েছি। আজকেও মাছসহ অন্যান্য পণ্যবাহী গাড়ি আগরতলা বন্দরে প্রবেশ করছে। আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খাইরুল আলম বলেন, যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অন্য দিনের তুলনায় দুদিন থেকে যাত্রী অনেক কম। যাত্রীদের আতঙ্কের বিষয়টি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যাত্রী পারাপার বাড়বে বলে আশা করছি। উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় উত্তর-পূর্ব ভারতে। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট, ভোজ্যতেল, তুলা ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী।
Read Entire Article