আগরতলায় সহকারী হইকমিশনে হামলা, প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ প্রদক্ষিণ করে মূল ফটক দিয়ে বের হয়। পরে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে রায় সাহেব বাজার মোড় ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্তরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। ভারত যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, তাহলে সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলোকে আমরা অস্থির করে তুলব। আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে তারা অসহায়।
আইন বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমরা মুহাম্মদ বিন কাসেমের উত্তরসূরী। আমাদের রক্তে খালিদ বিন ওয়ালিদের সাহসিকতা। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখার প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা হিন্দুত্ববাদী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সর্বদা প্রস্তুত।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী ও ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান বলেন, মনিপুর কিংবা ত্রিপুরার অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে আমরা নাক গলাইনি। কিন্তু ভারত আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করছে। এটি আমরা মেনে নিতে পারি না। হিন্দুত্ববাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
অন্যদিকে, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ফয়সাল বলেন, ভারতের চারপাশে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই। তাদের আধিপত্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি সব প্রতিবেশী দেশকে শত্রুতে পরিণত করেছে। বাংলাদেশকেও তারা অস্থিতিশীল করতে চায়। কিন্তু তারা ভুলে গেছে, আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে তারা আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ভারতীয় সরকারের কাছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেন।