আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থার জাতীয় রূপরেখা উদ্বোধন
জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে উচ্চঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশে আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী ও সবার জন্য সহজলভ্য করতে ‘ন্যাশনাল আর্লি ওয়ার্নিংস ফর অল’ রোডম্যাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত রোডম্যাপ ডিসেমিনেশন অ্যান্ড শেয়ারিং কর্মশালায় এই উদ্বোধন করা হয়। ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সব মানুষকে কার্যকর আর্লি ওয়ার্নিং ব্যবস্থার আওতায় আনতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বানের ধারাবাহিকতায় তৈরি এ রূপরেখা বাংলাদেশের কৌশলগত প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কর্মশালার প্রধান অতিথি দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, এই রোডম্যাপ শুধু একটি পরিকল্পনা নয়; এটি দুর্যোগে ক্ষতি কমানোর প্রতি আমাদের অঙ্গীকার। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কবির মো. আশরাফ আলম বলেন, দেশজুড়ে বিস্তৃত স্বেচ্ছাসেবক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ১৯৭২ সাল থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নির্ভরযোগ্য সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এবং এই সক্ষমতা আরও শক্তিশালী হবে। সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইক্স বলেন, আর্লি ওয়ার্নিং শুধু প্রযুক্ত
জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে উচ্চঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশে আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী ও সবার জন্য সহজলভ্য করতে ‘ন্যাশনাল আর্লি ওয়ার্নিংস ফর অল’ রোডম্যাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত রোডম্যাপ ডিসেমিনেশন অ্যান্ড শেয়ারিং কর্মশালায় এই উদ্বোধন করা হয়।
২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সব মানুষকে কার্যকর আর্লি ওয়ার্নিং ব্যবস্থার আওতায় আনতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বানের ধারাবাহিকতায় তৈরি এ রূপরেখা বাংলাদেশের কৌশলগত প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কর্মশালার প্রধান অতিথি দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, এই রোডম্যাপ শুধু একটি পরিকল্পনা নয়; এটি দুর্যোগে ক্ষতি কমানোর প্রতি আমাদের অঙ্গীকার।
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কবির মো. আশরাফ আলম বলেন, দেশজুড়ে বিস্তৃত স্বেচ্ছাসেবক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ১৯৭২ সাল থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নির্ভরযোগ্য সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এবং এই সক্ষমতা আরও শক্তিশালী হবে।
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইক্স বলেন, আর্লি ওয়ার্নিং শুধু প্রযুক্তিগত বিষয় নয়; এটি মানুষের মৌলিক অধিকার।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারি বলেন, মোবাইল অপারেটরদের সমন্বয়ে দ্রুত, সঠিক ও ব্যবহারকারী-বান্ধব বার্তা প্রেরণে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা আরও উন্নত করা হচ্ছে।
কর্মশালায় প্রায় ১৪০ জন উচ্চপর্যায়ের অংশগ্রহণকারী যুক্ত ছিলেন। সরকার, জাতিসংঘ সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা রোডম্যাপ বাস্তবায়নের কৌশল ও অগ্রাধিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, বিটিআরসি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। নতুন এই রোডম্যাপের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত পরিকল্পনা থেকে জাতীয় বাস্তবায়নের ধাপে এগিয়ে যাওয়ার সূচনা হলো।
জেপিআই/ইএ/জেআইএম
What's Your Reaction?