আগামী নির্বাচনের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে বিএনপি : এ্যানি
বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, আগামী দিনের জাতির প্রত্যাশা একটা সুষ্ঠু, স্বাভাবিক ও সাধারণ নির্বাচন। যেটি গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করার জন্য বেশি দরকার।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় বিএনপির বর্ধিত সভার প্রস্তুতির পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
বর্ধিত সভার প্রস্তুতি শেষে জানানো হয়, ২৭ তারিখের জনসভায় বর্ধিত সভায় ৪ হাজারের মতো নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। বর্ধিত সভা রাত পর্যন্ত চলবে। আগত নেতাকর্মীদের জন্য সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, সন্ধ্যার নাস্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শহীদ উদ্দীন এ্যানি বলেন, নির্বাচনের দিকে আমরা বেশি নজর দিচ্ছি। আমার বিশ্বাস, দেশে যদি একটি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে সব ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের কারণে আমরা গত ১৫-১৬ বছর সাংগঠনিক তৎপরতা ও গোছানোর কাজটি আমরা ঠিক মতে করতে পারিনি। ৫ আগস্টের পর তৃণমূলে আমরা আমাদের সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছি। যার কারণে ২৭ ফেব্রুয়ারির বর্ধিত সভা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সভায় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন জানিয়ে এ্যানি বলেন, সভায় সারাদেশের বাংলাদেশের তৃণমূলের, বিশেষ করে থানা, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হবেন। সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজারের মত নেতাকর্মী বর্ধিত সভায় থাকবেন। সেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন, নেতাকর্মীদের তার বার্তা দেবেন। যা নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য তৈরি করবে। যা বাংলাদেশের এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পতিত ফ্যাসিস সরকার যেভাবে লুটপাট করেছে, অত্যাচার-নির্যাতন, গুম-খুন করেছে রাজনীতি করেছে, তাদের সেই দুঃশাসনের কারণে দেশে এখনো অস্থিরতা চলছে।
পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে গেলেও অর্থ দিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেন এ্যানি। তিনি বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলার অবনতি লক্ষ্য করছি।
বর্ধিত সভায় আগামীদিনের করণীয় কি, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কি ধরনের হতে পারে সেটা নিয়ে তারেক রহমান আলোচনা করবেন বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল বলেন, ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম দলের প্রথম নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা আহ্বান করেছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখান থেকে মাঠ পর্যায়ের চলমান রাজনীতিক পরিস্থিতি, সামাজিক ও অর্থনীতি অবস্থা বিরাজ করছেন, তার সম্পর্কে সবার কাছ থেকে একটি ধারণা নিতে চান।
তিনি আরও বলেন, একইসঙ্গে আপনারা জানেন, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বাংলাদেশ যাতে গণতান্ত্রিক ধারণা সফল হতে না পারে তার জন্য দেশি-আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পর্যায়ের ষড়যন্ত্র চলছে। সেইখানে করণীয় কী, তা নিয়ে বর্ধিত সভায় দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের একটি নির্দেশনা দেওয়া হবে।
প্রকৃত গণতন্ত্রের বিকাশ তখনি হবে যখন দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে বলে উল্লেখ করেন মওদুদ আলমগীর। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে জনগণ সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত দাতা।তাদের কাছে বিএনপি সব সময় গেছে। সেই নিয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে চান, কীভাবে আগামী দিনে আমরা গণতান্ত্রিকভাবে সফল হতে পারি।
এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ডা. রফিকুল ইসলাম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, শাম্মী আখতার, আমিরুজ্জামান খান শিমুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।