আগামী সপ্তাহেই জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন ট্রাম্প

2 hours ago 3

শান্তি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখনো কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শান্তি চুক্তি করাতে ট্রাম্প আশাবাদী বলে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। খবর এএফপির।

রুবিও জানান, ট্রাম্প বারবার সতর্ক করেছেন যে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সমঝোতায় না এলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।

কিন্তু রাশিয়া হামলা বাড়ালেও ট্রাম্প এখনো সেই হুমকি বাস্তবায়ন করেননি, যা ইউক্রেনকে হতাশ করেছে। ইসরায়েলে সফরকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রুবিও বলেন, পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের একাধিক ফোনালাপ হয়েছে, জেলেনস্কির সঙ্গেও একাধিক বৈঠক হয়েছে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে আবার বৈঠক হবে যেখানে বিশ্বনেতারা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে জড়ো হবেন।

তিনি আরও বলেন, তিনি (ট্রাম্প) চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। যদি শান্তি সম্ভব হয়, তিনি সেটি অর্জন করতে চান। কোনো একসময় প্রেসিডেন্ট হয়তো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন যে এটি সম্ভব নয়। তিনি এখনো সে অবস্থায় পৌঁছাননি, তবে পৌঁছাতে পারেন।

রুবিও জানান, ট্রাম্পের দেওয়া আগের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধুমাত্র জুলাই মাসেই যুদ্ধে রাশিয়ার ২০ হাজার সেনা নিহত হয়েছে।

প্রায় এক মাস আগে ট্রাম্প আলাস্কায় পুতিনকে স্বাগত জানান। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর এটাই ছিল প্রথমবারের মতো কোনো পশ্চিমা দেশে পুতিনের সফর। কয়েকদিন পরই হোয়াইট হাউজে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে জেলেনস্কি এবং ট্রাম্পের বৈঠক হয়।

রুবিও বলেন, ট্রাম্পই একমাত্র ব্যক্তি যিনি পুতিন, জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয়দের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে সক্ষম। যদি তিনি কোনোভাবে নিজেকে এ থেকে সরিয়ে নেন, অথবা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বলেন, ‘আমি শেষ, তাহলে বিশ্বে আর কেউ থাকবে না যে যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করতে পারে।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন যে, একদিনের মধ্যেই তিনি এই যুদ্ধ থামাতে সক্ষম। তিনি তার পূর্বসূরি জো বাইডেনকে রাশিয়ার আক্রমণের জন্য দায়ী করেছেন এবং ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলারের সহায়তারও সমালোচনা করেছেন।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউজে এক বৈঠকে ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স প্রকাশ্যে জেলেনস্কিকে তিরস্কার করেন, অকৃতজ্ঞতার অভিযোগ তোলেন এবং কিছু সময়ের জন্য ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা বন্ধ করে দেন।

এরপর থেকে জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে দুইবার সাক্ষাৎ করেছেন এবং প্রতিবারই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

টিটিএন

Read Entire Article