রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের আশপাশে কোনো কেক বিক্রেতা বা অস্থায়ী দোকান বসতে পারবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। ট্রাফিক বিশৃঙ্খলার কারণে গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) থেকে দোকান না বসানোর এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
তবে পুলিশের সেই নির্দেশনা অমান্য করে বুধবার (১৫ অক্টোবর) থেকে আগারগাঁওয়ে ফের শতাধিক দোকান বসানো হয়েছে। এসব দোকান ফের জমজমাট হয়ে উঠেছে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড়ে। কেক বেচাকেনার এই চিত্রের ভিডিও ধারণ করতে ভিড় দেখা গেছে ইউটিউবারসহ কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের।
তবে এরআগে নির্বাচন কমিশনের সামনে কেকের বেচাকেনা হলেও এবার নির্বাচন কমিশন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের মাঝখানের সড়কে কেক বেচাকেনা চলছে। অস্থায়ী এসব দোকানে শুধু কেক নয়, বিক্রি হচ্ছে রকমারি পিঠা, ফ্রাইড রাইস, মুখরোচক মিষ্টি, দই, পুডিংও।
কেক বিক্রেতা আইরিন আক্তার পিংকি। তিনি বাসা থেকে নিজের হাতে কেক তৈরি করে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। দুই পাউন্ডের প্রতিটি কেক তিনি ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন। আবার কেউ কেক কেটে নিলে ১০০ টাকায় এক পিস দিচ্ছেন তিনি।
কথা হলে পিংকি বলেন, ‘কয়েকদিন বন্ধ ছিল। আবার বেচাকেনা শুরু করলাম। তবে প্রশাসন আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছে। সড়কে জটলা করা যাবে না। ময়লা ফেলা ও বিশৃঙ্খলা করা যাবে না।’
শুধু কেক নয়, ফ্রাইড রাইস, চিকেনও বিক্রি হচ্ছে। অন্বেষা নামের এক বিক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাঝে বিরতি দিয়ে আজকে বেচাকেনা শুরু করলাম। প্রথম দিনেই ক্রেতা মাশাল্লাহ ভালো।’
বুধবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কেক ক্রেতার থেকে ভিডিও করতে আসা মানুষজনের সংখ্যা বেশি। এখানে ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা দরে কেক বিক্রি হচ্ছে। এক নারী উদ্যোক্তা জানান, কেকের উপকরণ হিসেবে দাম কমবেশি হয়।
কথা হলে দোকানিরা জানান, বিক্রেতাদের সবাই নিজের বাসায় কেক বানিয়ে এখানে বিক্রি করতে আসেন। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা আসেন বিকেলে। আবার কেক বিক্রি শেষ হলে দোকান গুটিয়ে চলে যান তারা।
এমওএস/এমএমকে/জিকেএস