রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
নুর বলেন, আমরা দেখেছি, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের হয়ে কাজ করে। সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার, ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার হরণ করা হয়। কাজেই আমরা চাই জনবান্ধব প্রশাসন এবং যারা ক্ষমতায় থাকবে তারা যেন ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু মনে না করে। এজন্য আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার তারপর নির্বাচন।
আগামীর বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ঠাঁই হবে না উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হলেও তার দোসররা এখনো সারাদেশে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এই রংপুরের মাটিতে গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে। আজকের সমাবেশ থেকে আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমরা বলতে চাই, আবু সাঈদের রংপুরের মাটিতে এবং সারা বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ এখনো শুকায় নাই। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের জায়গা হবে না।
তিনি আরও বলেন, যারা আজকে আস্ফালন দেখাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে।
রংপুরের উন্নয়ন প্রসঙ্গ তুলে ধরে নুর বলেন, রংপুর কৃষি নির্ভর এলাকা। এখানে কৃষির অপার সম্ভাবনা থাকলেও প্রয়োজনীয় শিল্পকারখানা তৈরি হয়নি। এজন্য এ অঞ্চলের কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে হবে। এটা হলে গোটা বাংলাদেশ লাভবান হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও জেলা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের রংপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শেরে খোদা আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদ খাঁন, মুখ্য আলোচক ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজীব।
বিশেষ অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সহ-দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খোকন, সহ প্রচার ও প্রকাশন সম্পাদক সোহাগ হোসেন বাবু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হাজী মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, যুবঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম।
জিতু কবীর/জেডএইচ/এএসএম