গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। এই দরপতেনর তালিকায় নেতৃত্ব দিয়েছে এআইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ ফান্ডটির ইউনিট কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় গত সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার শীর্ষ স্থানটিও দখল করেছে এই মিউচুয়াল ফান্ড।
গত সপ্তাহের লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসে মিউচুয়াল ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের দাম কমেছে ৮০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এতে এই পাঁচদিনে ফান্ডটির ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ৮ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের দাম দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ৫ টাকা ৫০ পয়সা।
এমন দরপতন হওয়া ফান্ডটি ২০২৩ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। সর্বশেষ ২০২৩ সালে বিনিয়োগকারীদের দশমিক ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তার আগে ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ এবং ২০২১ সালে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় মিউচুয়াল ফান্ডটি।
ফান্ডটির মোট ইউনিট সংখ্যা ১০ কোটি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ১০ শতাংশ আছে। বাকি ইউনিটের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৮৮ শতাংশই আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৩ দশমিক ১২ শতাংশ আছে।
এআইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের পর গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড। এই ফান্ডের দাম কমেছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। শেয়ার দাম ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমার মাধ্যমে দাম কমার তালিকায় তৃতী স্থানে রয়েছে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক।
এছাড়া দাম কামার তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে- ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ, নূরানী ডাইংয়ের ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, উত্তরা ফাইন্যান্সের ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ দাম কমেছে।
এমএএস/ইএ/জেআইএম