আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রার্থী-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জকসু) নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকসহ একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, কিছু শিক্ষক নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন, আবার বেশ কয়েকজন প্রার্থী নিয়ম ভেঙে উন্নয়ন সামগ্রী ও খাবার বিতরণ করছেন। কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে নিয়ম ভঙ্গের ঘোষণা দিয়ে কার্যক্রমও চালাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসে একটি কনসার্টে অংশ নেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ানের জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদপ্রার্থী তাকরিম আহমেদ। মঞ্চে খাদিজাতুল কোবরা ৫০ হাজার টাকা এবং তাকরিম আহমেদ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন। যা আচরণবিধির লঙ্ঘন। আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, হল সংসদের প্রার্থী সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা, কেন্দ্রীয় সংসদের প্রার্থী সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন। এ সীমার অতিরিক্ত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক ও কল্যাণমূলক কার্যক্রম নিষে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জকসু) নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকসহ একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, কিছু শিক্ষক নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন, আবার বেশ কয়েকজন প্রার্থী নিয়ম ভেঙে উন্নয়ন সামগ্রী ও খাবার বিতরণ করছেন। কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে নিয়ম ভঙ্গের ঘোষণা দিয়ে কার্যক্রমও চালাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসে একটি কনসার্টে অংশ নেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ানের জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদপ্রার্থী তাকরিম আহমেদ। মঞ্চে খাদিজাতুল কোবরা ৫০ হাজার টাকা এবং তাকরিম আহমেদ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন। যা আচরণবিধির লঙ্ঘন।
আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, হল সংসদের প্রার্থী সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা, কেন্দ্রীয় সংসদের প্রার্থী সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন। এ সীমার অতিরিক্ত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক ও কল্যাণমূলক কার্যক্রম নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে।
রোববার রাতে বাসের শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়ার ঘোষণা দেন একই প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মো. রাকিব। এটিও আচরণবিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। পরদিন সকালে তাকে প্রকাশ্যে ছাত্রদল–সমর্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায়। রাতে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আচরণবিধি ভাঙার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করলেও নির্বাচন কমিশন কোনো সুস্পষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি।
একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পরিচালক ও ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক, বিএনপিপন্থি সাদা দলের সদস্য তারেক বিন আতিকের বিরুদ্ধেও আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন বিধিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নির্বাচনি প্রচারণা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি সেটি লঙ্ঘন করেছেন।
ফেসবুকের এক মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে গাড়ির জন্য আবেদন করার উদ্যোগের জন্য এ কে এম রাকিব, মো. আরিফুল ইসলাম ও মো. আদনানকে ধন্যবাদ।’ এই তিনজন ছাত্রদল–সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের প্রার্থী।
তবে এ বিষয়ে তারেক বিন আতিক বলেন, ‘আমি শুধু শিক্ষার্থী হিসেবে ওদের প্রশংসা করেছি। প্রচারণা করিনি। কমেন্ট করা কোনো নিয়মভঙ্গ নয়।’
ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত প্যানেল ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’-এর এজিএস প্রার্থী শামসুল আলম মারুফ ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘একেক প্যানেল একেকভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে তারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে জকসু সার্কাসে পরিণত হবে।’
ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের এজিএস প্রার্থী শাহিন মিয়া লিখেছেন, ‘ছাত্রদল প্রতিদিন একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। নির্বাচন কমিশন কি দেখে না?’
জিএস প্রার্থী ফয়সাল মুরাদ লিখেছেন, ‘হল থেকে কনসার্ট। সবখানে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেল নিয়ম ভাঙছে। কমিশন কী কাঠের চশমা পরে আছে?’
এ বিষয়ে জকসু নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি ভিডিও এসেছে। এ বিষয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘হল থেকে অভিযোগ এসেছে। কয়েকটি ছবি পেয়েছি। তবে কেন্দ্রীয় সংসদের ক্ষেত্রে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে কমিটি তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।’
টিএইচকিউ/আরএইচ
What's Your Reaction?