বয়স হয়ে গেছে ৩৯ বছর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দীর্ঘদিনের পথচলা ডেভিড ওয়াইজের। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে দক্ষিন আফ্রিকার হয়ে খেলেছিলেন, পরে পাড়ি জমিয়েছেন নামিবিয়ায়। দেশটির হয়ে খেলতে গিয়ে একদিনেই নাকি কয়েক বছর বয়স বেড়ে গেছে ওয়াইজের।
সোমবার ওমানের বিপক্ষে সুপার ওভারে গিয়ে জয় পায় নামিবিয়া। এই ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন ওয়াইজে। নির্ধারিত ওভারের ম্যাচে ৩ ওভার ৪ বলে স্রেফ ২৮ রান দিয়ে তুলে নেন তিন উইকেট। পরে দলের বিপদের সময়ে ব্যাট হাতে জেতাতে না পারলেও টাই করতে ভূমিকা রাখেন। এক ছক্কায় ৮ বলে করেন ৯ রান।
কিন্তু ওয়াইজে নামিবিয়ার জন্য ত্রাতা হন সুপার ওভারে গিয়ে। ব্যাট হাতে প্রথমেই স্ট্রাইক নেন তিনি। চার বল খেলে করেন ১৩ রান। পরে বল হাতে প্রথম পাঁচ বলে ৪ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। শেষ বলে ছক্কা খেলেও ততক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে গেছে।
এমন চাপের মধ্যে থেকে ম্যাচ বের করে এনে নিজের বয়স নিয়ে মজাই করলেন ওয়াইজে। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি বলেন, ‘আজকে আমার বয়স কয়েক বছর বেড়ে গেছে। আর খুব বেশি দিন বাকি নেই আমার খেলার (হাসি)। অনেক আবেগ ক্ষয় হয়ে গেছে আজ।’
সুপার ওভারে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ম্যাচটার মধ্যে ছিলাম এটা সাহায্য করেছে। জানতাম যদি ব্যাট হাতে কয়েকটা শট খেলে ফেলতে পারি সুপার ওভারে...এরপর বল হাতে কেবল (পরিকল্পনা) বাস্তবায়ন করতে হবে।’
ওমানকে স্রেফ ১০৯ রানে অলআউট করেছিল নামিবিয়া। তাদের জন্য লক্ষ্যটা সহজই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুরো ২০ ওভার খেললেও ৬ উইকেটে ১০৯ রানের বেশি করতে পারেনি নামিবিয়াও। ম্যাচশেষে ওয়াইজে বলছেন, উইকেট বেশ কঠিন ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য।
তিনি বলেন, ‘পিচটা কঠিন ছিল, আমরা যেভাবে ভেবেছিলাম সেভাবে খেলতে পারিনি। কিন্তু আমরা ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি। উইকেটে পেস অনেক বেশি ছিল, এখানে এসে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। আপনাকে কিছুটা সময় কাটাতে হবে মারার আগে।’
‘কোন লক্ষটা ভালো এটা হিসাব করা কঠিন। কারণ যখন আপনি ১৮০ রান তাড়া করবেন, তখন আপনি ভিন্নভাবে খেলবেন। কিন্তু যখন আপনি তাদেরকে এভাবে বল করতে দেবেন যেভাবে তারা করেছে, তাহলে তাদেরকে খেলায় ফিরিয়ে নিয়ে এলেন। এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের।’
আইএইচএস/জিকেএস