আজ সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে শুরু হলো সাধারণ ছুটি। আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবারও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পরে তিনদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সরকার ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট (সোম, মঙ্গল ও বুধবার) নির্বাহী আদেশে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সাধারণ ছুটিকালীন সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকিবে।
এতে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।
আরও পড়ুন:
- দেশজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ: নিহত ৮৮
- ঢাকায় কারফিউয়ের সময় বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেই ব্যবস্থা
- জনসাধারণকে কারফিউ মেনে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতার অনুরোধ: আইএসপিআর
এছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী এবং জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিস এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, এছাড়া ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
এদিকে, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন (কারফিউ) জারি করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের পদত্যাগ দাবিতে রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচি ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৮৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে রোববার সন্ধ্যা থেকে সার্বক্ষণিক কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ছিল সাধারণ ছুটি।
আরএমএম/এসএনআর/এমএস