আজও ওসমান হাদির কবরে মানুষের ভিড়, ন্যায়বিচারের দাবি জোরালো
দাফনের চতুর্থ দিন পেরিয়ে গেলেও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির কবরে মানুষের ভিড় কমেনি। গত তিন দিনের মতো আজও (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কবর জিয়ারত করতে আসেন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় সরেজমিন দেখা যায়, আছরের নামাজ শেষ করে অনেক মুসল্লি ও সাধারণ জনতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মসজিদের ভেতর থেকে হাদির কবর দেখার চেষ্টা করছেন। এসময় কাউকে মোনাজাত উঠিয়ে দোয়া করতে, কাউকে দাঁড়িয়ে স্মৃতিচারণ করতে দেখা যায়। এর বাইরেও হাদির কবর ঘিরে ছাত্র, তরুণ, রাজনৈতিক কর্মী, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসেছেন, আবার কেউ কেউ দলীয় বা সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। কেরানীগঞ্জ থেকে সপরিবারে এসেছেন মালেক খান। তিনি বলেন, পরিবারসহ হাদি ভাইয়ের কবর দেখতে এসেছি। দূর থেকে দেখেই হৃদয়ে যেন ভাঙচুর হয়েছে। একজন যুবককে কীভাবে মেরে ফেললো ওরা! আমার ছেলেও আমার সঙ্গে আছে। আমি চাই, আমার ছেলেও হাদির মতো হয়ে উঠুক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদ মাহমুদ বলেন, হাদি ভাইয়ের বক্তব্য আমরা নিয়মিত শুনতাম। তিনি যেসব বিষয় তুলে ধরতেন, সেগুলো নিয়ে অনেক
দাফনের চতুর্থ দিন পেরিয়ে গেলেও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির কবরে মানুষের ভিড় কমেনি। গত তিন দিনের মতো আজও (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কবর জিয়ারত করতে আসেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় সরেজমিন দেখা যায়, আছরের নামাজ শেষ করে অনেক মুসল্লি ও সাধারণ জনতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মসজিদের ভেতর থেকে হাদির কবর দেখার চেষ্টা করছেন। এসময় কাউকে মোনাজাত উঠিয়ে দোয়া করতে, কাউকে দাঁড়িয়ে স্মৃতিচারণ করতে দেখা যায়।
এর বাইরেও হাদির কবর ঘিরে ছাত্র, তরুণ, রাজনৈতিক কর্মী, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। অনেকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে এসেছেন, আবার কেউ কেউ দলীয় বা সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানাতে আসেন।
কেরানীগঞ্জ থেকে সপরিবারে এসেছেন মালেক খান। তিনি বলেন, পরিবারসহ হাদি ভাইয়ের কবর দেখতে এসেছি। দূর থেকে দেখেই হৃদয়ে যেন ভাঙচুর হয়েছে। একজন যুবককে কীভাবে মেরে ফেললো ওরা! আমার ছেলেও আমার সঙ্গে আছে। আমি চাই, আমার ছেলেও হাদির মতো হয়ে উঠুক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদ মাহমুদ বলেন, হাদি ভাইয়ের বক্তব্য আমরা নিয়মিত শুনতাম। তিনি যেসব বিষয় তুলে ধরতেন, সেগুলো নিয়ে অনেক সময় আমরা ক্যাম্পাসে আলোচনা করেছি। সরাসরি তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়নি, কিন্তু তার অবস্থান ও বক্তব্য আমাদের চিন্তাকে প্রভাবিত করেছে। তাকে হারানোর বিষয়টি এখনো মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তাই কবর জিয়ারত করে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।
ইনকিলাব মঞ্চের এক কর্মী বলেন, শহীদ ওসমান হাদি শুধু একজন সংগঠক ছিলেন না, তিনি মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। বিভিন্ন সময় চাপ ও হুমকির মধ্যেও তিনি নিজের বক্তব্যে অনড় ছিলেন। দাফনের কয়েক দিন পরও যেভাবে মানুষ কবর জিয়ারত করতে আসছেন, তাতে বোঝা যায় তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতে পেরেছিলেন।
রাজধানীর মিরপুর থেকে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নই। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাদির বক্তব্য ও বিভিন্ন কর্মসূচির খবর অনুসরণ করতাম। তার মৃত্যু আমাকে নাড়া দিয়েছে। মনে হয়েছে অন্তত একবার কবর জিয়ারত করে দোয়া করা উচিত।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এলাকার মানুষ হিসেবে বিষয়টি আমরা কাছ থেকে দেখছি। প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসছে। অনেকেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন, কেউ আবার অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন। দাফনের চার দিন পরও এমন ভিড় সাধারণত দেখা যায় না।
এদিকে কবর জিয়ারত করতে আসা কয়েকজন তরুণ জানান, হাদির মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের বিচারের দাবি তারা জানিয়ে যাচ্ছেন। তারা বলেন, তার মৃত্যু একটি ব্যক্তিগত ঘটনা নয়, বরং এটি বৃহত্তর একটি রাজনৈতিক বাস্তবতার অংশ।
এফএআর/এমআইএইচএস/এমএস
What's Your Reaction?