আটকে থাকা সাংবাদিক ও তাদের পরিবারে ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
দৈনিক ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সেই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য রাতটি ছিল উদ্বেগের। বিশেষ করে রাতে সেখানে আটকে পড়া সাংবাদিকদের পরিবারে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ডেইলি স্টার অফিসে রাতে অনেকের সঙ্গে ভেতরে আটকে পড়েন নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত। দীপ্তর বাবা আহমেদ জহুর বলেন, ‘সন্তানের জন্য মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সময়টা ছিল অসহনীয়। যখন আমার ছেলে অফিসে ডিউটিতে ছিল, তখন সেখানে আগুন লেগেছিল, হামলা-ভাঙচুর চলছিল। টিভি, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছিলাম—সন্তানের কর্মক্ষেত্র দাউ দাউ করে জ্বলছে, আর ছেলে ভেতরে আটকা।’ আহমেদ জহুর শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এক বীভৎস রাত পাড়ি দিলাম। বড় ছেলে আহমেদ দীপ্ত এইমাত্র বাসায় ফিরেছে। সারা রাত আগুন আর ধোঁয়ায় শরীর কালচে হয়ে গেছে।’ তিনি জানান, ভোর সোয়া ৪টার দিকে সেনাবাহিনী আহমেদ দীপ্তসহ তার সহকর্মীদের নিরাপদে উদ্ধার করে। এসময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকেও উদ্ধার করা হয়। আহমেদ জহুর আরও উল্লেখ করেন, ‘ডেইলি স্টারের ছাদে আটকে থাকা অন্যান্য সাংবাদিকদের বাবা-মায়েরাও সারারাত
দৈনিক ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সেই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য রাতটি ছিল উদ্বেগের। বিশেষ করে রাতে সেখানে আটকে পড়া সাংবাদিকদের পরিবারে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
ডেইলি স্টার অফিসে রাতে অনেকের সঙ্গে ভেতরে আটকে পড়েন নিজস্ব প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত। দীপ্তর বাবা আহমেদ জহুর বলেন, ‘সন্তানের জন্য মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সময়টা ছিল অসহনীয়। যখন আমার ছেলে অফিসে ডিউটিতে ছিল, তখন সেখানে আগুন লেগেছিল, হামলা-ভাঙচুর চলছিল। টিভি, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছিলাম—সন্তানের কর্মক্ষেত্র দাউ দাউ করে জ্বলছে, আর ছেলে ভেতরে আটকা।’
আহমেদ জহুর শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এক বীভৎস রাত পাড়ি দিলাম। বড় ছেলে আহমেদ দীপ্ত এইমাত্র বাসায় ফিরেছে। সারা রাত আগুন আর ধোঁয়ায় শরীর কালচে হয়ে গেছে।’
তিনি জানান, ভোর সোয়া ৪টার দিকে সেনাবাহিনী আহমেদ দীপ্তসহ তার সহকর্মীদের নিরাপদে উদ্ধার করে। এসময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকেও উদ্ধার করা হয়।
আহমেদ জহুর আরও উল্লেখ করেন, ‘ডেইলি স্টারের ছাদে আটকে থাকা অন্যান্য সাংবাদিকদের বাবা-মায়েরাও সারারাত উদ্বিগ্ন ছিলেন। আমাদের প্রতি তাদের সমবেদনা রইল।’
এ ঘটনায় ডেইলি স্টারের কর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার সময় ২৫-৩০ জন সংবাদকর্মী ভেতরে আটকা পড়েন এবং ধোঁয়ার কারণে ছাদে আশ্রয় নেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ক্রেনের মাধ্যমে তাদের নিরাপদে উদ্ধার করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রথমে প্রথম আলোর অফিসে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেয় এবং পরবর্তীতে একইভাবে ডেইলি স্টার ভবনেও আগুন ধরান।
সাংবাদিকতার ঝুঁকি ও নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে আহমেদ জহুর লিখেছেন, ‘আমাদের ভাগ্যই খারাপ। এরশাদ আমলে ১৯৮৮ সালে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমার ছেলে প্রথম আলোতে থাকাকালে ২০১৮ সালে ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনীর হাতে প্রহৃত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিল। এখন সে ডেইলি স্টারে কাজ করছে। রাতে তার অফিসে আগুন ধরানো হয়েছিল।’
তিনি শেষ করেছেন, ‘আল্লাহ আমার সন্তানকে আগুন ও উগ্রতার হাত থেকে রক্ষা করেছেন, এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সারারাত বন্ধুবান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল। মহান আল্লাহ যেন এই ধরনের উগ্র মানুষদের হেদায়েত করেন।’
জেপিআই/এমআইএইচএস/এমএস
What's Your Reaction?