বলিউড সুপারস্টার সালমান খান সম্প্রতি প্রাইম ভিডিওর জনপ্রিয় আয়োজন ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কল’-এ অংশ নিয়েছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আমির খান। সেখানে তিনি জানান জীবনের এক ভয়ংকর অধ্যায়ের কথা। দীর্ঘ ৭ বছর ছয় মাস ধরে লড়েছেন বিরল স্নায়ুরোগ ‘ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া’র সঙ্গে। এটি প্রচণ্ড যন্ত্রণার কারণে পরিচিত ‘সুইসাইড ডিজিজ’ নামে।
সালমান জানান, প্রতি ৪-৫ মিনিট পরপর হঠাৎ তীব্র ব্যথা হতো। এমনকি কথা বলার মাঝেও যন্ত্রণা চেপে বসত। নাশতা শেষ করতে দেড় ঘণ্টা লেগে যেত, চিবোতে না পারায় অমলেট খেতেন প্রচণ্ড যন্ত্রণা সহ্য করে।
প্রথমে অনেকে ভেবেছিলেন দাঁতের সমস্যা। তিনি প্রতিদিন ৭৫০ মিলি গ্রাম মাত্রার পেইনকিলার খেতেন। তবুও স্বস্তি পেতেন না। অবশেষে ধরা পড়ে আসল কারণ- নার্ভে সমস্যা।
সালমান বলেন, ‘এই রোগে সবচেয়ে বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেন। এখন অবশ্য চিকিৎসা সম্ভব। আমাকে ৮ ঘণ্টা ধরে গামা নাইফ সার্জারি করতে হয়। ডাক্তাররা বলেছিলেন ব্যথা শতকরা ২০ থেকে ৩০ কমবে, কিন্তু আল্লাহর রহমতে পুরোপুরি সেরে যায়।’
অভিনেতার ভাষায়, ২০০৭ সালে পার্টনার সিনেমার শুটিংয়ের সময়ই প্রথম সমস্যা ধরা পড়ে। লারা দত্ত তার মুখ থেকে চুল সরাতেই এক ধরনের বৈদ্যুতিক ঝটকা অনুভব করেন।
- আরও পড়ুন:
সালমান খানের পরিবারে গরুর মাংস নিষিদ্ধের কারণ জানালেন তার বাবা
শুটিংয়ে আহত সালমান খান, এখন কেমন আছেন ভাইজান
এ বছর দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শোতে তিনি আরেকটি তথ্য জানান, তার মস্তিষ্কে রয়েছে ব্রেইন অ্যানিউরিজম ও আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন, যা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে।
সালমানের ভাষ্যে, ‘যন্ত্রণার সেই সময় পার করে আজ আমি অনেকটাই স্বাভাবিক। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ যে আবার নতুন জীবন পেয়েছি।’
এমএমএফ/জেআইএম