ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক জীবনে দর্শন শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, আত্মশুদ্ধির চর্চা ও আত্মসমালোচনার মাধ্যমে আমাদের নৈতিক দর্শন ও আদর্শকে আরও মজবুত করতে হবে।
তিনি বলেছেন, সমাজে এখন নানারকম বিভাজন তৈরি হচ্ছে, মানুষে মানুষে দূরত্ব বাড়ছে। এর ফলে সমাজে বিভিন্ন ধরনের দ্বন্দ্ব-সংঘাত, হানাহানি, অরাজকতা ও অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এ ধরনের বিভাজন চূড়ান্ত অর্থে মানবিকতারই পরাজয়।
শান্তির বার্তা নিয়ে সমাজের সব দ্বন্দ্ব ও বিভাজন নিরসনে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য দার্শনিক ও দর্শনশাস্ত্রের গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাবি উপাচার্য।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ব দর্শন দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ, গোবিন্দ দেব দর্শন গবেষণা কেন্দ্র এবং নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্র যৌথভাবে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘ফিলোসফি ফর এন ইনক্লুসিভ অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফিউচার’।
ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ওই আলোচনা সভায় দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুল উলায়ীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান।
‘বাংলাদেশে ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের দর্শন: ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের অধ্যাপক আ খ ম ইউনুস। এছাড়া দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী এ এস এম নুরুল হুদা ও সরকারি তিতুমীর কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মালেকা আক্তার চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে এক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
২০০২ সালে ইউনেসকো বিশ্ব দর্শন দিবস উদযাপনের ঘোষণা দেয়। ২০০৫ সালে ইউনেসকোর সাধারণ সম্মেলনে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দর্শন দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ব দর্শন দিবস পালন হয়ে আসছে।
এমএইচএ/এমকেআর/এমএস