আনসার সদস্য আবুল হোসেনের ড্রোন উদ্ভাবন, পৃষ্ঠপোষকতার আশ্বাস

নিজ মেধা, শ্রম ও অদম্য উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর সৃজনশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অঙ্গীভূত আনসার সদস্য আবুল হোসেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ড্রোন বিমান নির্মাণের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন—আনসার বাহিনীর সদস্যরা শুধু দায়িত্বশীল নিরাপত্তা কর্মীই নন, বরং আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সক্ষমতায়ও সমানভাবে দক্ষ। বাহিনীর সার্বিক উন্নয়ন ও দেশকল্যাণে এমন উদ্ভাবনী উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। এ ধরনের সৃজনশীল কর্মকাণ্ডকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। বাগেরহাট জেলাজুড়ে ব্যাপক প্রশংসিত এই ব্যতিক্রমী উদ্ভাবন আবুল হোসেনকে পরিণত করেছে বাহিনীর গর্বের প্রতীকে। তার সৃজনশীল উদ্যোগ ও প্রযুক্তিগত সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বাহিনীর সদর দপ্তরে আমন্ত্রণ জানান আবুল হোসেনকে। অনুষ্ঠ

আনসার সদস্য আবুল হোসেনের ড্রোন উদ্ভাবন, পৃষ্ঠপোষকতার আশ্বাস

নিজ মেধা, শ্রম ও অদম্য উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর সৃজনশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অঙ্গীভূত আনসার সদস্য আবুল হোসেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ড্রোন বিমান নির্মাণের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন—আনসার বাহিনীর সদস্যরা শুধু দায়িত্বশীল নিরাপত্তা কর্মীই নন, বরং আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সক্ষমতায়ও সমানভাবে দক্ষ।

বাহিনীর সার্বিক উন্নয়ন ও দেশকল্যাণে এমন উদ্ভাবনী উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। এ ধরনের সৃজনশীল কর্মকাণ্ডকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বাগেরহাট জেলাজুড়ে ব্যাপক প্রশংসিত এই ব্যতিক্রমী উদ্ভাবন আবুল হোসেনকে পরিণত করেছে বাহিনীর গর্বের প্রতীকে। তার সৃজনশীল উদ্যোগ ও প্রযুক্তিগত সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বাহিনীর সদর দপ্তরে আমন্ত্রণ জানান আবুল হোসেনকে।

অনুষ্ঠান চলাকালে আবুল হোসেন তার উদ্ভাবিত ড্রোন বিমানটি সফলভাবে আকাশে উড্ডয়ন করে উপস্থিত সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ সময় মহাপরিচালক তার এই অসাধারণ উদ্ভাবনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে তার উদ্ভাবনী কার্যক্রমে বাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতার আশ্বাস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম শুরু করে এ পর্যন্ত আবুল হোসেন মোট ২৭টি ড্রোন বিমান নির্মাণ করেছেন। প্রতিটি ড্রোনই দীর্ঘ সময় ধরে আকাশে সফলভাবে উড্ডয়নে সক্ষম—যা তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা, অধ্যবসায় ও ধারাবাহিক গবেষণার সুস্পষ্ট প্রমাণ। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তার এই নিরলস উদ্ভাবনী প্রয়াস বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের জন্যও এক অনুকরণীয় ও অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত।

ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তির সংযোজন ও আধুনিক ড্রোন বিমান নির্মাণের মাধ্যমে আনসার সদস্য আবুল হোসেন বাহিনী এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন—এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

টিটি/এমএমকে/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow