আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের পরই এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা এলো। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
গাজা উপত্যকায় গণহত্যার দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। আদালতের চোখে তিনি পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জারি রেখেছেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার এ তালিকায় আরও রয়েছেন- নেতানিয়াহুর প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নেতারা।
ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞার যে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তার আওতায় পড়বেন আইসিসির বিশেষ কর্মকর্তারা। যারা মার্কিন নাগরিকদের অথবা ইসরায়েলের মতো মার্কিন মিত্রদের বিরুদ্ধে তদন্তে কাজ বা সহযোগিতা করেছেন। ওই ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে অর্থনৈতিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করেছেন তিনি। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আরও রয়েছে, মনোনীত ব্যক্তিদের যেকোনো মার্কিন সম্পদ জব্দ করা এবং মার্কিন নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানে তাদের এবং তাদের পরিবারের সম্পদ ফ্রিজ করে রাখা। প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালেও ট্রাম্প আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এবার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই একই পদক্ষেপের পুনরাবৃত্তি করলেন।
যুক্তরাষ্ট্র কত দ্রুত নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করবে তা স্পষ্ট নয়। ২০২০ সালে প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনের সময়, আফগানিস্তানে আমেরিকান সেনাদের দ্বারা কথিত যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে আইসিসির তদন্তের কারণে ওয়াশিংটন তৎকালীন প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদা এবং তার একজন শীর্ষ সহযোগীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এ বিষয়ে রয়টার্স আইসিসির প্রতিক্রিয়া জানতে চায়। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব তারা দেয়নি।