আন্দোলনকারীদের শিবির বলা শিক্ষককে বহিষ্কারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

4 weeks ago 8

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘শিবির’ বলে সম্বোধন ও মামলার হুমকি দেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার পদত্যাগ চেয়েছেন তারা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন বরারর ৪ দফা সম্বলিত একটি স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের সময় বেঁধে দেন তারা।

শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি গুলো হলো-

১. শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য, হামলা-মামলার ভয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় ফলাফল খারাপ করানোর হুমকি দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত থাকায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং মিডটার্ম ও ফাইনাল খাতা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

২. অধ্যাপক জিনাত হুদা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া, ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহুলকে বিনা অপরাধে গ্রেফতারের পর তাকে জানানো হলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া এবং আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ১৩-১৭ ব্যাচ তার কোনো কোর্সের ক্লাস করবে না।

৩. অধ্যাপক সাদেকা হালিম ও অধ্যাপক মশিউর রহমানসহ এরই মধ্যে ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগকারী শিক্ষকরা যেন বিভাগে ফিরে না আসেন তা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. শিক্ষার্থীদের হিজাব, নেকাব, বোরখা, পাঞ্জাবি পরিধানে ও ধর্মীয় লেবাসে থাকায় আপত্তিকর মন্তব্যকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় বিভাগ ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা। দাবি না মানা পর্যন্ত বিভাগের কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

তারা বলেন, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হুমকি দিয়েছিলেন। এমনকি মামলা দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। পরীক্ষার খাতায় মার্কস নিয়েও ঝামেলা করেছেন। কোটা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে সমাজবিজ্ঞান ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ ব্যাচের মোশারফ হোসেন ভাইয়ের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অব্যাহতি দিয়েছেন। আমরা সমাজবিজ্ঞান শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার স্বার্থে তার পদত্যাগ চাই।

তারা আরও বলেন, কোটা আন্দোলনে বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহুলকে বিনা অপরাধে গ্রেফতারের পর অধ্যাপক জিনাত হুদাকে বারবার জানানো হলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেননি। বরং শিক্ষক সমিতির প্রোগ্রামে কোটা আন্দোলনের বিরুদ্ধে বলেছেন। আমরা ডিন ও চেয়ারম্যান অফিসে স্মারকলিপি দিয়েছি। অবিলম্বে জামাল স্যারকে বহিষ্কার ও জিনাত হুদাকে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুবা বিভাগ ঘেরাও কর্মসূচিসহ কঠোর কর্মসূচিতে যাবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এমএইচএ/এমআইএইচএস/এমএস

Read Entire Article