বগুড়ায় বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিপন ফকিরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত হওয়ার ১১০ দিন পর আদালতের নির্দেশে রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়া সদরের এরুলিয়া বানদিঘি ফকির পাড়া এলাকার কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলাম, জাহিদ হাসানসহ পুলিশ সদস্য ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে নিহত রিপনের মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) পাঠানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ বলেন, আদালতের নির্দেশে রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ মর্যাদায় আবারও দাফন করা হবে।
এদিকে ছাত্র আন্দোলনে রিপন ফকিরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের স্ত্রী গত ১৭ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ আগস্ট শহরের ২নং রেল ঘুমটি ঝাউতলা এলাকায় ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রিপন ফকির।
বগুড়া কোর্ট পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, রিপন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য গত ২৮ অক্টোবর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলি আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা গত ৩১ অক্টোবর আবেদন মঞ্জুর করেন।