আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে শুভ সূচনা বাংলাদেশের

লক্ষ্য সহজ ছিল না। শেষদিকে তাই কিছুটা স্নায়ুর পরীক্ষায় পড়তে হয়েছে। তবে জয় হাতছাড়া করেনি বাংলাদেশ। দুবাইয়ে আফগানিস্তানকে ৩ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে শুভ সূচনা করেছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার রিফাত বেগ আর জাওয়াদ আবরার। ২৭ ওভার পর্যন্ত খেলে দিয়ে ১৫১ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান তারা। ৬২ করে রিফাত ফিরলে ভাঙে এই জুটি। জাওয়াদ আবরারের সুযোগ ছিল সেঞ্চুরি করার। কিন্তু ৪ রান দূরে থাকতে ভুল করে বসেন তিনি। বড় শট খেলতে গিয়ে ফেরেন ক্যাচ দিয়ে। ১১২ বলে ৯৬ রানের ইনিংসে ৯টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা হাঁকান আবরার। এরপর দলের হাল ধরেন কালাম সিদ্দিকী ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। তৃতীয় উইকেটে ৭১ বলে ৬৬ রান যোগ করেন তারা। কালাম সিদ্দিকী ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন ২৯ রানে। ফিফটি মিস করেন অধিনায়ক তামিমও (৪৮ বলে ৪৭)। এরপর একই ওভারে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (২) ও সামিউন বশির (১) রানআউট হয়ে ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেই চাপ সামলে নেন শেখ পারভেজ জীবন আর রিজান হোসেন। মাথা ঠান্ডা রেখে দলকে জেতার পথে নিয়ে যান তারা। তবে

আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে শুভ সূচনা বাংলাদেশের

লক্ষ্য সহজ ছিল না। শেষদিকে তাই কিছুটা স্নায়ুর পরীক্ষায় পড়তে হয়েছে। তবে জয় হাতছাড়া করেনি বাংলাদেশ। দুবাইয়ে আফগানিস্তানকে ৩ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে শুভ সূচনা করেছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার রিফাত বেগ আর জাওয়াদ আবরার। ২৭ ওভার পর্যন্ত খেলে দিয়ে ১৫১ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান তারা। ৬২ করে রিফাত ফিরলে ভাঙে এই জুটি।

জাওয়াদ আবরারের সুযোগ ছিল সেঞ্চুরি করার। কিন্তু ৪ রান দূরে থাকতে ভুল করে বসেন তিনি। বড় শট খেলতে গিয়ে ফেরেন ক্যাচ দিয়ে। ১১২ বলে ৯৬ রানের ইনিংসে ৯টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা হাঁকান আবরার।

এরপর দলের হাল ধরেন কালাম সিদ্দিকী ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। তৃতীয় উইকেটে ৭১ বলে ৬৬ রান যোগ করেন তারা। কালাম সিদ্দিকী ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন ২৯ রানে।

ফিফটি মিস করেন অধিনায়ক তামিমও (৪৮ বলে ৪৭)। এরপর একই ওভারে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (২) ও সামিউন বশির (১) রানআউট হয়ে ফিরলে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

তবে সেই চাপ সামলে নেন শেখ পারভেজ জীবন আর রিজান হোসেন। মাথা ঠান্ডা রেখে দলকে জেতার পথে নিয়ে যান তারা। তবে জয় থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৩ করা জীবন। ১৩ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থেকে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন রিজান।

এর আগে দুবাইয়ে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তিনে নামা ব্যাটার ফয়সাল শিনোজাদার সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তান দাঁড় করায় ৭ উইকেটে ২৮৩ রানের বড় সংগ্রহ।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে তিনে নামা ফয়সাল ব্যাট হাতে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৯৪ বলে ১০৩ রানের ইনিংস। ৮ চার ও ৪ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি।

আফগানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই। ৩৮ রান আসে আজিজউল্লাহ মিয়াখিলের ব্যাট থেকে। ৩৪ রান করেন ওসমান সাদাত। নয়ে নামা আব্দুল আজিজ ৩ ছক্কায় ১৬ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে ছিলেন অপরাজিত।

বাংলাদেশের হয়ে সমান দুটি উইকেট পেয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন ও শাহরিয়ার আহমেদ। ১টি করে উইকেট গেছে সাদ ইসলাম, সাইমুন বশির ও রিজান হোসেনের ঝুলিতে।

এমএমআর

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow