আবরার ফাহাদের নামে তার জেলার স্টেডিয়ামের নামকরণ করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। নতুন নাম হয়েছে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম’। আগে এটির নাম ছিল শেখ কামাল স্টেডিয়াম।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
এদিন আরও দুটি স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলার স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে শহীদ মারুফ স্টেডিয়াম। এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণের নাম রাখা হয়েছে শহীদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিটি স্টেডিয়াম সংস্কার করার কথা জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া। যার শুরুটা হয়েছে নাম দিয়ে। প্রথম ধাপে দেশের তিনটি স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ প্রকৌশলী বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন আবরার ফাহাদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতবিরোধী পোস্ট করায় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এই ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। তবে আবরার ফাহাদের স্মরণে সরকারের এই উদ্যোগ।
আবরার ফাহাদ ১৯৯৮ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায়। তার বাবার নাম মো. বরকত উল্লাহ এবং মায়ের নাম রোকেয়া খাতুন। তিনি কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং পরে কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে পড়াশোনা করেন।
পরে তিনি নটরডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ আবরার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ফেসবুকে ভারতবিরোধী পোস্টের কারণে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।