মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ক্যারিবিয়ান সাগরে আবারো প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। ছোট নৌযান লক্ষ্য করে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩ জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
পোস্টে হেগসেথ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সন্ত্রাসী সংগঠন দ্বারা পরিচালিত নৌযানকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানো হয়েছে।
হেগসেথ একটি ২০ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপও প্রকাশ করেছেন। সে ভিডিওতে দেখা যায় দ্রুতগামী একটি নৌযান মিসাইলের আঘাতে বিস্ফোরিত হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় আনক্ল্যাসিফাইড হামলা চালানো হয়েছে। তবে নৌযানটি মাদক চোরাচালানে জড়িত ছিল বলে বাস্তব কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
নারকো-সন্ত্রাসীদের হুমকি দিয়ে তিনি বলেছেন, যেসব মাদক-সন্ত্রাসী আমাদের দেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে। তারা যদি বাঁচতে চায় তবে মাদক পাচার বন্ধ করতে হবে। যদি চালিয়ে যাও, আমরা হত্যা করব।
যুক্তরাষ্ট্রের এসব হামলা ভেনেজুয়েলা সরকারকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র বলে বিবৃতি দিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। মার্কিন আগ্রাসন প্রতিরোধে দেশের প্রত্যেক এলাকায় মিসাইল মোতায়েন করেছেন বলে এরই মধ্যে খবর প্রকাশিত হয়েছে। রাশিয়ার স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পেলেও আরও অত্যাধুনিক মিসাইল, অস্ত্র ও ড্রোন চেয়ে রাশিয়া, চীন ও ইরানে রাষ্ট্রপ্রধানদের স্বসাক্ষরিত চিঠি দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে ব্যাপক নৌবাহিনী মোতায়েন করেছে। এছাড়া কয়েকদিন আগেই ভেনেজুয়েলা ভূখণ্ডে সরাসরি হামলার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। মাদক নির্মূল করতে সিআইএকে গোপন অভিযান চালানোর অনুমতিও দিয়েছেন। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা তাদের কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে তার প্রমান সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হওয়া একটি খবর। এ খবরে বলা হয়েছে, পাইলটকে বিমানের রুট বদলে দিয়ে মাদুরোকে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানায় পৌছে দিতে বড় অঙ্কের অর্থের প্রস্তাব দিয়েছিল মার্কিন এফবিআই।
আরও পড়ুন>>
‘বিমানের রুট বদলে দিলে ধনী বানিয়ে দেব’ মাদুরোর পাইলটকে মার্কিন গোয়েন্দার প্রস্তাব
এ বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ক্যারিবিয়ান সাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে অন্তত ১৮টি নৌযানে মার্কিন হামলায় ৬০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফোল্কার টার্ক। যিনি এগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যা বলে আখ্যা দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক জলসীমায় এমন প্রাণঘাতী হামলার আইনি ভিত্তি কী? এমন প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা ও কয়েকজন রিপাবলিকান সিনিয়র নেতা।
কেএম

6 hours ago
8









English (US) ·