আবারও হারলো ম্যানসিটি, এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে
সপ্তাহের শুরুতে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। সপ্তাহের মাঝে এসে এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হেরে বসেছে জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনের কাছে। চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বে অপরাজেয় যাত্রা ছিল ম্যানসিটির। ঘরের মাঠ ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে এসে লেভারকুসেনের সামনে এসে সেই যাত্রা থেমে গেলো সিটির। ব্যস্ত সূচির কথা মাথায় রেখে গার্দিওলা একসঙ্গে দলে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। আরলিং হালান্ড, জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা, ফিল ফোডেন, জেরেমি ডোকুসহ একাধিক তারকা খেলোয়াড়কে রেখেছিলেন বেঞ্চে। কিন্তু এই রোটেশনই সিটিকে বড় মূল্য দিতে হলো। লেভারকুজেনের মতো সাম্প্রতিক সময়ে ৭–২ গোলে পিএসজির কাছে বিধ্বস্ত হওয়া দলটি সিটির দ্বিতীয় সারির খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে দারুণভাবে টিকে থাকার লড়াই করলো এবং জয় তুলে আনলো তারা। ২৩তম মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে দ্রুত আক্রমণ সাজায় লেভারকুসেন। ইব্রাহিম মাজার ডান দিকের ক্রস থেকে ক্রিশ্চিয়ান কোফানের কাছ থেকে পাস পেয়ে আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো শক্তিশালী শটে প্রথম গোল করেন। সিটির ডিফেন্স তখন পুরো অগোছালো। সিটি প্রথমার্ধে কোনোভাবেই ছন্দে ফিরতে পারেনি। অস্কার ববের লো
সপ্তাহের শুরুতে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। সপ্তাহের মাঝে এসে এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হেরে বসেছে জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনের কাছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বে অপরাজেয় যাত্রা ছিল ম্যানসিটির। ঘরের মাঠ ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে এসে লেভারকুসেনের সামনে এসে সেই যাত্রা থেমে গেলো সিটির।
ব্যস্ত সূচির কথা মাথায় রেখে গার্দিওলা একসঙ্গে দলে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। আরলিং হালান্ড, জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা, ফিল ফোডেন, জেরেমি ডোকুসহ একাধিক তারকা খেলোয়াড়কে রেখেছিলেন বেঞ্চে।
কিন্তু এই রোটেশনই সিটিকে বড় মূল্য দিতে হলো। লেভারকুজেনের মতো সাম্প্রতিক সময়ে ৭–২ গোলে পিএসজির কাছে বিধ্বস্ত হওয়া দলটি সিটির দ্বিতীয় সারির খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে দারুণভাবে টিকে থাকার লড়াই করলো এবং জয় তুলে আনলো তারা।
২৩তম মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে দ্রুত আক্রমণ সাজায় লেভারকুসেন। ইব্রাহিম মাজার ডান দিকের ক্রস থেকে ক্রিশ্চিয়ান কোফানের কাছ থেকে পাস পেয়ে আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো শক্তিশালী শটে প্রথম গোল করেন। সিটির ডিফেন্স তখন পুরো অগোছালো।
সিটি প্রথমার্ধে কোনোভাবেই ছন্দে ফিরতে পারেনি। অস্কার ববের লো ক্রস এবং তিয়ানি রেইন্ডার্সের দূরপাল্লার শট দারুণভাবে ঠেকান মার্ক ফ্লেকেন, যিনি ছিলেন ব্রেন্টফোর্ডের সাবেক গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধে গার্দিওলা তিনটি পরিবর্তন আনেন— ফোডেন, নিকো ও'রেইলি, জেরেমি ডোকুকে মাঠে নামানো হয়। তবুও ম্যাচের গতি পাল্টাতে পারেনি সিটি। ৫৪তম মিনিটে আসে দ্বিতীয় আঘাত। আবারও মাজার ক্রস থেকে এবার প্যাট্রিক শিক দারুণ এক গ্ল্যান্সিং হেডে বল জালে পাঠান। জেমস ট্রাফোর্ড কোনোভাবেই তা থামাতে পারেননি। লেভারকুসেন ২–০।
৬২তম মিনিটে অবশেষে মাঠে নামানো হয় আরলিং হালান্ডকে। মাঠে নামার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফোডেনের থ্রু-বল ধরে এগিয়েছিলেন; কিন্তু ফ্লেকেন আবারও দারুণভাবে বেরিয়ে এসে বল ক্লিয়ার করেন।
শেষদিকে হালান্ডের একটি শট পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায় এবং রায়ান শেরকির একটি ফ্রি–কিক ফ্লেকেন সহজেই ধরে ফেলেন। শুধু তাই নয় লেভারকুসেনের ডিফেন্সে জারেল কোয়ানসাহ অসাধারণ ভূমিকা রাখেন। সিটির সব চাপ একাই সামলেছেন তিনি।
এ হারের ফলে সিটি শুধু অপরাজেয় থাকার রেকর্ড হারাল না, বরং নিজেদের সেরা আটে থাকার সম্ভাবনাও জটিল করে ফেলল। কারণ তাদের পরের ম্যাচ রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে- যা আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। ৫ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট ১০। রয়েছে ৬ষ্ঠ স্থানে। ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৩তম স্থানে রয়েছে বায়ার লেভারকুসেন।
গার্দিওলার আশা ছিল নিউক্যাসলের বিপক্ষে সপ্তাহান্তের হার থেকে দল দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে; কিন্তু ইত্তিহাদে এর কোনো লক্ষণই দেখা গেল না।
আইএইচএস/
What's Your Reaction?