ধারে ভারে আবাহনীর চেয়ে এগিয়ে থাকা কিরগিজস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেড সহজ জয় নিয়েই ঢাকা থেকে ফিরে যাচ্ছে। মঙ্গলবার ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্রাথমিক পর্বের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করে ২-০ ব্যবধানে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কিরগিজ ক্লাবটি।
শারীরিকভাবে আবাহনীর খেলোয়াড়দের চেয়ে অনেক এগিয়েছিলেন কিরগিজ ক্লাবের খেলোয়াড়রা। শুরু থেকেই তারা লম্বা পাসে খেলে আবাহনীকে কোনঠাসা করতে থাকে। মোহামেডান থেকে এবার নাম লেখানো মালির সোলেমান দিয়াবাতেই কেবল শারীরিকভাবে অতিথি দলটির সাথে ওয়ান-টু ওয়ান টক্কর দিতে পেরেছেন। মালির এই ফরোয়ার্ডকেই কেবল দেখা গেছে কিরগিজ ক্লাবের অর্ধে ঘোরাঘুরি করতে। একটা সময় আবাহনীর বাকি খেলোয়াড়দের মধ্যে নিচে নেমে খেলারই প্রবণতা দেখা গেছে বেশি।
মুরাস এএফসি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রধান্য নিয়েই খেলেছে। আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা দুটি দুর্দান্ত সেভ না করলে প্রথমার্ধেই মুরাস এএফসি ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারতো। আবাহনী সেভাবে মুরাসের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের পরীক্ষা নিতে পারেনি। আবাহনীর বল দখল ছিল ৪৩ ভাগ, মুরাসের ৫৭। মাত্র একটি শট অন টার্গেটে নিতে পেরেছিল আবাহনী। সেখানে অতিথি দলটি অন টার্গেটে শট নিয়েছে ৯টি।
শুরুর দিকে আবাহনীর ওপর যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুরাস, তাতে ধারণা করা হয়েছিল স্বাগতিক দলটিকে তারা আবার গোলে মালা পরিয়ে না দেয়। তবে গোল মিস আর আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুলের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানেই হয় ম্যাচের ফয়সালা।
মিতুল মারমার দৃঢ়তায় আর নিজেদের মিসে প্রথমার্ধে গোল পায়নি মুরাস। তবে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর তৃতীয় মিনিটেই আতাইয়ের গোল লিড নেয় অতিথি দলটি। ইনজুরি সময়ের আতাই গোল করেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন।
এ ম্যাচ দিয়ে আবাহনীর জার্সিতে অভিষেক হয়েছে মোহামেডানের দিয়াবাতে, বসুন্ধরা কিংসের মোরসালিন ও পুলিশ এফসির কাজেম শাহ'র। নতুন মৌসুম আবাহনীর শুরুটা হলো আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান ক্লাব লাইসেন্স করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের পরিবর্তে চ্যালেঞ্জ লিগে খেলার সুযোগ পায় আবাহনী।
আরআই/আইএইচএস/