চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন বাম সংগঠনের নেতারাসহ ৯ শিক্ষার্থী। তবে অনশনে বসার দুই ঘণ্টা পরেই খাবারের দোকানে দেখা গেছে অনশনরত চবি শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকিরকে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
অনশনে বসা নেতারা হলেন চবি শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জশদ জাকির, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর দপ্তর সম্পাদক নাঈম শাহ জান এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহমেদ মুগ্ধ, নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার, শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের আহ্বায়ক ধ্রুব বড়ুয়া, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুদর্শন চাকমা, বাংলা বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র এবং স্পোর্টস সাইন্স বিভাগের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী রাম্রা সাইন মারমা।
জাগো নিউজের কাছে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তারা দুপুর সাড়ে ১২টায় অনশন শুরু করলেও ২টা ৫৫ মিনিটে কলা ঝুপড়ির একটি খাবারের দোকানে চবি শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জশদ জাকিরকে দেখা যায়। খাবার শেষ করে কয়েকজনের সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করেন। পরে টিস্যু দিয়ে হাত মুছে খাবারের টাকা দিতে দেখা যায় তাকে। জশদ জাকির মিউজিক বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জশদ জাকির জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সাড়ে ১২টা থেকে অনশনে বসেছি। এর আগে সকাল থেকেই না খাওয়া অবস্থায় ক্লাস করেছি। আমি ভিসি স্যার ও আরও দুজন স্যারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। অনশনে বসার আগে তো নিজের সারাদিনের একটা প্রস্তুতি আছে। আমি সকাল থেকে ব্যক্তিগতভাবেই অনশনে ছিলাম। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ওদের সঙ্গে যোগ দিয়েছি।’
এসআর/এমএস