আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কথা বলতে চাই, শত ফুল ফোটাতে চাই

1 month ago 25

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কথা বলতে চাই, বিতর্ক চর্চাকে লালন করতে চাই ও শত প্রতিবন্ধকতার মাঝেও শত ফুল ফোটাতে চাই। যেকোনো বিবেচনায় এসবই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ। সেজন্য আমরা চাই শিক্ষার্থীরা মৌলিক বিতর্ক চর্চা, গঠনমূলক সমালোচনা ও বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ অব্যাহত রাখুক।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস) আয়োজিত ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে ছাত্ররাজনীতির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক পলিসি বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিইউডিএসের মডারেটর অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ ও সহকারী প্রক্টর শেহরিন আমিন ভূঁইয়া।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, পলিসি বিতর্কের বিষয়বস্তু বর্তমান পরিবর্তিত বা রক্তস্নাত বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি প্রশ্ন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এই পলিসি বিতর্কের নির্যাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভিত্তি তৈরি করবে বলে আশা প্রকাশ করছি।

উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন বলতে আমরা যে গুরুগম্ভীর স্তম্ভকে বুঝি, তার পরিবর্তন করতে চাই। এই পরিবর্তন শুরু হোক সমালোচনা সহ্য করে পরিবর্তন করার মাধ্যমে। পরিবর্তনের এই যাত্রায় শিক্ষার্থীদের পূর্ণ সহায়তা প্রদান করবে প্রশাসন। এতে শিক্ষার্থীরা বিজয়ী হলে যেমন গর্বিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, তেমন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলেও শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বিতর্ক অনুষ্ঠানে রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, সাইয়েদ আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া ও আজহার উদ্দিন অনিক প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন।

এমএইচএ/বিএ/জেআইএম

Read Entire Article