আমাদের সাদা ফুল
তোমাদের কিছুতেই বাগে আনতে পারছি না অশুভ, দলবদ্ধ তোরা; জলবন্দি নপুংসক
মোরা, সেই সাদা ফুল, ফুল থেকে জন্ম নেওয়া বীজ, বীজ থেকে অঙ্কুরিত ঘোলা
জলে শাপলার সুডৌল স্তন আমাদের বাঁচতে শেখায় না—
তাই মীমাংসিত সত্যগুলো
প্রশ্নবিদ্ধ আজ—এ ব্যর্থতা কার?
সুবিধাভোগী ঘুঘুরা এসে খেয়ে যায়
উঠানের ধান, আমরা অন্ধচোখে
তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি হেমন্তের
পাকাধানে মই দেয় দুষ্ট ইঁদুর—
****
এক তরুণের
এক তরুণের হৃদয় ভরা রক্তস্নাত
গতর বাইয়া বুকের তপ্ত অক্ষরগুলো
আগুন হয়ে ফুটেছিল, গঙ্গারেড্ডির
সেই তরুণের পরানভর্তি স্বদেশ প্রেমের
উৎস ছিল—ভূগোল গড়ার উত্তুঙ্গ এক
স্বপ্নভূমির অবাধ পাথার চিরায়ত
নীল পাপড়ি আকাশ ছিল—বুনেছিল
ক্ষেতের ফসল তোলার আনন্দে রক্ত নদী
উজান বেয়ে সাগর সঙ্গমে গিয়েছিল।
****
আমার পা দুটি, মনও
আমার পা দুটি প্রোথিত বাংলায়—মনও।
এ ভূমিতে আমার জন্ম। আমার জীবন
বৃত্তান্ত। এ মাটিতে পা ফেলে হেঁটেছি অনেক। এ মাটির গলিগুজি, পথ ও পাথেয়
আমার চেনা। এ মাটির সকল গল্প ও পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার সাথে
ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তিত মানুষের মন—
সংগঠিত গণ বিপ্লবের সাথে সম্পৃক্ত
মুক্তিযুদ্ধে আমার অংশগ্রহণ সত্য।
তারপরও পাঠ করতে গিয়ে মানুষের জীবন শুনেছি, বাংলার রূপমুগ্ধ ধানসিঁড়ির
কবি জীবনানন্দ বারবার এখানেই ফিরে আসার গান গেয়েছিলেন। জানি না, কেন
রবীন্দ্রনাথ ভিন্ন। আর আমি—
****
জন্মকাহিনি
সাদা ফুলের থেকে তোর জন্ম—তাই
আকণ্ঠ ডুবে আছিস ভ্রমে, শোকে
থৈথৈ করে এমন সব রাত্রির অন্তর্বাস
তোর আরাধ্য এখন, অভিঘাত;
কলরবরত এমন নর্দমা তোর প্রিয়
বুকের পাশে প্রবাহিত; তাই অনন্ত
জাগরণের কথা তোর মনে নেই—
ঠোঁটের ডগায় নিরাকার ব্রহ্ম;
ব্যভিচারিণী মশকি তোর দৌহিত্রী
তোর প্রতি অন্যায় জুলুমের সমর্থক,
তাই সদা গোলাপের পাপে নিমজ্জিত আমিও—
এসইউ/জেআইএম