আর একটি মাত্র ম্যাচ। ৭ ফেব্রুয়ারি রাতের ফাইনালে ফরচুন বরিশাল জিতলেই সাফল্যের এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করবেন মিজানুর রহমান বাবুল। বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ হিসেবে মোহাম্মদ সালাউদ্দীনের পরের জায়গাটিতে বসবেন তিনি।
কারণ ইতিহাস ও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বিপিএলের সবচেয়ে সফল কোচ হলেন মোহাম্মদ সালাউদ্দীন। সাকিবের মেন্টরই একমাত্র কোচ যিনি চার-চারবার ট্রফি বিজয়ী দলের কোচিং করিয়েছেন। আরেক নামী ও সিনিয়র প্রশিক্ষক খালেদ মাহমুদ সুজন বেশ কয়েকবার ফাইনাল খেললেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মোটে একবার।
কিন্তু মিজানুর রহমান বাবুলের সামনে আছে সুজনকে টপকে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ হওয়ার। আগেরবার বাবুলের কোচিংয়েই বিপিএলের দশম আসরের শিরোপা জিতেছিল ফরচুন বরিশাল। তাই ৭ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে জিতলেই বাবুল হবেন টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন টিমের কোচ।
সাফল্যের বিবেচনায় ওপরের দিকে থাকলেও নাম-ডাক আর পরিচিতির দিক থেকে বাবুল খানিক পিছিয়ে। তাকে নিয়ে হৈ চৈ কম। কথা-বার্তাও হয় না তেমন। তবে কি তিনি আন্ডাররেটেড?
ফাইনালের আগে আজ বুধবার দুপুরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে মিজানুর রহমান বাবুলের আত্মবিশ্বাসী জবাব, ‘আন্ডাররেটেড করে, কারা রেট করে, কিভাবে রেট করে সেটা তো আসলে যারা রেট করে তারা বুঝবে। আমার কাজ হলো কোচিং করানো, ভালো কিছু করা। আমি চেষ্টা করি আমার তরফ থেকে। যারা বিচার করবে আরেকটা জায়গা থেকে। তারা তাদের দৃষ্টিতে..., ওইটা তো আমার হাতে নেই। আমার হাতে যেটা, আমি চেষ্টা করি একটা দলকে কিভাবে সমন্বয় করা যায়। এ বছর আমার ভালো হচ্ছে। জাতীয় লিগে চার দিনের সংস্করণ ও টি-টোয়েন্টিতে আমার দল ফাইনাল খেলেছে। গত বছর বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এ বছরও আমার দল ফাইনালে উঠেছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।’
এআরবি/আইএইচএস