আমার খুব কান্না আসছে : মিথিলা

থাইল্যান্ডে চলছে মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসরের চূড়ান্ত উন্মাদনা। বিশ্বের ১২১টি দেশের সুন্দরীদের ভিড়ে বাংলাদেশের পতাকা বহন করছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। আগামীকালই জানা যাবে কার মাথায় উঠতে যাচ্ছে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২৫’-এর কাঙ্ক্ষিত মুকুট। তার আগে বিশ্বমঞ্চে দেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি পরে নজর কাড়লেন বাংলার এই প্রতিনিধি। গতকাল (১৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিযোগিতার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্ব ‘ন্যাশনাল কস্টিউম রাউন্ড’। যেখানে প্রতিটি দেশের প্রতিযোগীরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী পোশাকে মঞ্চ মাতান। মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ মিথিলা এই গুরুত্বপূর্ণ পর্বের জন্য বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের নারীদের প্রধান পোশাক শাড়ি। আর বিশ্বমঞ্চে দেশের আভিজাত্য তুলে ধরতে তার পরনে ছিল সাদা রঙের ঢাকাই জামদানি। শাড়িটির বিশেষত্ব হলো এর মোটিফ। জামদানির বুননে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। নিজের এই লুকের ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে মিথিলা লিখেছেন, “‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এর ন্যাশনাল কস্টিউম—‘দ্য কুইন অব বেঙ্গল’।” পোশাকের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি আরও লেখেন, ‘মিস ইউনিভার্সের মঞ্চের ন্যাশনাল কস্টিউম পর্বের

আমার খুব কান্না আসছে : মিথিলা

থাইল্যান্ডে চলছে মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসরের চূড়ান্ত উন্মাদনা। বিশ্বের ১২১টি দেশের সুন্দরীদের ভিড়ে বাংলাদেশের পতাকা বহন করছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। আগামীকালই জানা যাবে কার মাথায় উঠতে যাচ্ছে ‘মিস ইউনিভার্স ২০২৫’-এর কাঙ্ক্ষিত মুকুট। তার আগে বিশ্বমঞ্চে দেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি পরে নজর কাড়লেন বাংলার এই প্রতিনিধি।

গতকাল (১৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিযোগিতার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্ব ‘ন্যাশনাল কস্টিউম রাউন্ড’। যেখানে প্রতিটি দেশের প্রতিযোগীরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী পোশাকে মঞ্চ মাতান। মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ মিথিলা এই গুরুত্বপূর্ণ পর্বের জন্য বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের নারীদের প্রধান পোশাক শাড়ি। আর বিশ্বমঞ্চে দেশের আভিজাত্য তুলে ধরতে তার পরনে ছিল সাদা রঙের ঢাকাই জামদানি।

শাড়িটির বিশেষত্ব হলো এর মোটিফ। জামদানির বুননে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। নিজের এই লুকের ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে মিথিলা লিখেছেন, “‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’-এর ন্যাশনাল কস্টিউম—‘দ্য কুইন অব বেঙ্গল’।”

পোশাকের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি আরও লেখেন, ‘মিস ইউনিভার্সের মঞ্চের ন্যাশনাল কস্টিউম পর্বের জন্য পরছি ঐতিহ্যবাহী অভিজাত জামদানি; এটি বাংলার রাজকীয় ইতিহাসের জীবন্ত ঐতিহ্য।’

পারফরম্যান্স শেষে বুধবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন মিথিলা। এসময় তাকে বেশ আবেগপ্রবণ দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল কস্টিউম সবার কাছে কেমন লেগেছে? আশা করি, সবার ভালো লেগেছে, মনের মতো হয়েছে। বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে এই কস্টিউম বেছে নিয়েছি। আমার মনে হয়, ন্যাশনাল কস্টিউমে বাংলাদেশকে কেউ এভাবে তুলে ধরল।’

পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি হ্যাপি, কারণ আমার পারফরম্যান্সও খুব ভালো হয়েছে। সবাই খুব প্রশংসা করেছে।’

দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে মিথিলা বলেন, ‘স্টেজ থেকে নামার পর আজকে আমার খুব কান্না আসছে। অনেক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়। মঞ্চে যখন থাকবেন এবং নিজের দেশকে উপস্থাপন করা কত বড় সাহস আর শক্তির প্রয়োজন, সেটা তখনই উপলব্ধি করা যায়।’

এখন পুরো দেশের অপেক্ষা আগামীকালের চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow