গাজীপুরে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের স্ত্রী ফরিদা বেগম বলেন, তুহিনকে হত্যার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটজনকে মহানগর পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা গ্রেফতার করেন। এ হত্যাকাণ্ডে যারা পেছনে ইন্ধন দিয়েছেন এবং টাকা খরচ করে ভাড়াটিয়া কিলার দিয়ে আমার স্বামীকে হত্যা করেছেন তাদেরও দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় গাজীপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করা হয়। এসময়ে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন যে পত্রিকায় কাজ করতেন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক খায়রুল আলম ও তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী ফরিদা বেগম বলেন, তুহিন হত্যার ঘটনা এবং সিসিটিভি ফুটেজসহ সব ডকুমেন্ট যেভাবে আপনারা জনসম্মুখে এনেছেন, আমি ও আমার পরিবার আপনাদের কাছে সারা জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ। সত্য লিখনির কারণে আজ আপনাদের সহকর্মী ও আমার স্বামী তুহিনের হত্যাকারীদের অপরাধ উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে। না হয় আমার স্বামীর সহকর্মী প্রয়াত সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের মতো আলামত নিখোঁজ ও তদন্তের নামে অনেক নাটক হতো। এটি শুধু আপনাদের (সাংবাদিকদের) জন্যই হয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, তুহিন হত্যাকাণ্ডে সব আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করুন। ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র জমা দিতে হবে। মামলার বাদী, ঘটনাস্থলে সব সাক্ষী ও আমার পরিবার এবং দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক খায়রুল আলম রফিকের জীবনের নিরাপত্তা এবং আমার পরিবারের সবার জীবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ, তুহিন হত্যা মামলা ৯০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করে সর্বোচ্চ শাস্তির কার্যক্রম সম্পূর্ণ করতে হবে। তুহিনের পরিবার ও আমার সন্তানের দায়িত্ব নিতে হবে। সারাদেশের সব সাংবাদিক ভাই-বোনদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে। সাংবাদিকদের জন্য আলাদা হটলাইন চালু করতে হবে।
মো. আমিনুল ইসলাম/জেডএইচ/