‘আমি পুলিশ, মারলেও বিচার নাই’ চাচাতো ভাইকে রক্তাক্তের পর এএসআই

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ছুটিতে বাড়ি এসে চাচাতো ভাইকে কামড়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে আরিফুল ইসলাম নামের পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার ঘাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে থানায় অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবার। আহত ব্যক্তির নাম মোফাজ্জল হোসেন। তাকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজ উদ্দিনের বড় ছেলে। বর্তমানে তিনি শরীয়তপুর জেলা পুলিশে কর্মরত। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জমি-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে এএসআই আরিফুল ইসলামের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে রোববার রাত ১১টার দিকে মোফাজ্জলের ওপর হামলা করেন আরিফুল। তিনি তার কান কামড়ে দেন এবং পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। চলে যাওয়ার সময় সৌদি যাওয়ার জন্য রাখা পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন। আহত মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‌“চাকরিতে ঢোকার পর থেকেই আরিফরা এলাকায় আধিপত্য দেখায়। আমাকে মারার সময় সে বলে—‘আমি পুলিশ, মারলেও আমাদের কোনো বিচার নাই’। আমি প্রশাসনের কাছে এই হামলার বিচার চাই।” মামলার বাদী ও মোফাজ্জলের বড় বোন সালমা আক্তা

‘আমি পুলিশ, মারলেও বিচার নাই’ চাচাতো ভাইকে রক্তাক্তের পর এএসআই

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ছুটিতে বাড়ি এসে চাচাতো ভাইকে কামড়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে আরিফুল ইসলাম নামের পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার ঘাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে থানায় অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবার।

আহত ব্যক্তির নাম মোফাজ্জল হোসেন। তাকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজ উদ্দিনের বড় ছেলে। বর্তমানে তিনি শরীয়তপুর জেলা পুলিশে কর্মরত।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জমি-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে এএসআই আরিফুল ইসলামের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে রোববার রাত ১১টার দিকে মোফাজ্জলের ওপর হামলা করেন আরিফুল। তিনি তার কান কামড়ে দেন এবং পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। চলে যাওয়ার সময় সৌদি যাওয়ার জন্য রাখা পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন।

আহত মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‌“চাকরিতে ঢোকার পর থেকেই আরিফরা এলাকায় আধিপত্য দেখায়। আমাকে মারার সময় সে বলে—‘আমি পুলিশ, মারলেও আমাদের কোনো বিচার নাই’। আমি প্রশাসনের কাছে এই হামলার বিচার চাই।”

মামলার বাদী ও মোফাজ্জলের বড় বোন সালমা আক্তার বলেন, ‘যে পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দেবে, সেই পুলিশই যদি আমাদের ওপর হামলা করে, তাহলে বিচার পাবো কোথায়?’

জানতে চাইলে অভিযুক্ত এএসআই আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধান হবে।’ বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এসকে রাসেল/এসআর

 

 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow